মোমবাতি কিনতে গিয়েছিলেন বাজারে। বাড়িতে ফিরেই আঁতকে উঠলেন দেবু বিশ্বাস। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন স্ত্রী। গলগল করে বেরিয়ে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি! বাঁচাতে পারেননি স্ত্রী মুক্তি বিশ্বাসকে। অভিযুক্ত নিজের বাবাই। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরায়।
হাবরায় পুত্রবধূকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। যিনি আবার প্রাক্তন সেনাকর্মীও। হাবরার শ্রীনগর শ্মশান মাঠ এলাকায় বছর ৪০-এর পুত্রবধূ মুক্তি বিশ্বাসকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গোপাল বিশ্বাসকে।
রবিবার দুপুরের দিকে মুক্তির স্বামী দেবু বিশ্বাস ছোট ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে মোমবাতি লাগাচ্ছিলেন। আরও কিছু মোমবাতি প্রয়োজন হওয়ায় পাশের দোকানে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন তাঁর বাবা গোপাল বিশ্বাসের হাতে দা। ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে স্ত্রী। চারপাশ ভেসে যাচ্ছে রক্তে। আশেপাশের লোক ডেকে স্ত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যান হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা থাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
সাংসারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। অভিযুক্ত গোপাল বিশ্বাসকে জেরা করছে হাবরা থানার পুলিশ। হঠাৎ কেন তিনি পুত্রবধূকে দাঁ দিয়ে কোপাতে গেলেন, সেটাই জানার চেষ্টা চলছে। গোটা ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা।