এগরার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, 'পরিবারকে কীভাবে চুরির দায় থেকে বাঁচানো যায় সেই দিকে নজর মুখ্যমন্ত্রীর।' এই সরকার ব্যর্থতার দলিল লিখছে বলে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের বাড়িগুলিও। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেআইনিভাবে চলছিল বাজি কারখানাটি। সব জানত স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশের কাছেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। তিনি বাজি কারখানা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি জানান,'আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। ওরা বলছে, পুলিশকে জানিয়েছে। আমি জানলে, যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিতাম। না জেনে আমি বলতে পারব না। ঘটনা মর্মান্তিক। এই মানুষগুলির পাশে কীভাবে দাঁড়়ানো যায় সেই চেষ্টা করব।'
এগরার ঘটনার পর পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও দত্তপুকুরে কীভাবে বাজির কারখানা চলছিল, সেনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'এগরার ঘটনার সময় উনি অনেক বক্তব্য রেখেছিলেন। হেলিকপ্টার চড়ে ১৫ দিন পরে শ্রাদ্ধশান্তিতে এসেছিলেন। পাবলিসিটি ছাড়া আর কিছু নেই। এসব বিষয়ে ওঁর নজর নেই। নিজের পরিবারকে কীভাবে চুরির দায় থেকে বাঁচানো যায় সেই দিকে নজর ওঁর।'
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন,'এই সরকার ব্যর্থতার দলিল লিখছে। এই সরকারের নেতৃত্বে বাংলার মানুষের নিরাপত্তা নেই। মানুষের জীবন সস্তা হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল সরকার ব্যর্থ।'
বিরোধীরা শকুনের রাজনীতি করছে বলে পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়,'এটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনা যে কোনও দিন ঘটতে পারে। শিবকাশিতে বাজিশিল্প বিখ্যাত। বাজি কারখানা তুলে দিতে হবে, এই দাবি অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ বাজিশিল্পের সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়িত। যেটা হয়েছে পুলিশ প্রশাসন দেখছে। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা দেখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট কড়া বার্তা দিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন কি তা মানছে, সেগুলি দেখার বিষয়। শকুনের রাজনীতি করে বিরোধীরা চিৎকার শুরু করছে।'