পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই ফিরল ২০১৮ সালের স্মৃতি। মনোনয়নপত্র পেশ ঘিরে জেলায় জেলায় শুরু হয়ে অশান্তি। প্রথম দিনেই 'রাজনৈতিক হত্যা'র অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। দ্বিতীয় দিন শনিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ডোমকল। সেখানে কংগ্রেস ও সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিডিও অফিস ঘিরে ফেল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ও পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় বিজেপিকে মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় খড়গ্রামের রতনপুর নলদীপ গ্রামের কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। পরপর ছয় রাউন্ড গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম কাজল শেখ ও সফিক শেখ। শনিবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, সুষ্ঠু ভোট হলে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে। সেই আতঙ্কেই কংগ্রেসকর্মীদের উপর হামলা আক্রমণ শুরু করেছে। গোটা ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি তৃণমূলের। তাদের বক্তব্য, এটা গ্রাম্য বিবাদ।
ডোমকলে সিপিএম ও কংগ্রেসকে মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই দলের অভিযোগ, বিডিও অফিস ঘিরে রেখেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পরিস্থিতি সামলাতে আদালতের নির্দেশ না মেনে সিভিক দিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
পঞ্চায়েতে এক দফায় ভোটগ্রহণ। ৭০ হাজার বুথে কীভাবে পুলিশের পক্ষে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব সেনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। আধা সেনার দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়,'রাজ্যে ৪২ হাজার পুলিশ দিয়ে ৭০ হাজার বুথে এক দিনে ভোট করাবে! এ তো মৃত্যুকে ডেকে আনা। আধাসেনা দিয়েই ভোট হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়বে।'