রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেন রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানালেন,গোটা রাজ্যে এক দফায় হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। আগামী ৮ জুলাই, শনিবার ভোটগ্রহণ। ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন পেশ করার সময়। ১৭ জুন স্ক্রুটিনি। ২০ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১১ জুলাই ভোটগণনার সম্ভাবনা। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কি ভোট হতে চলেছে? তার জবাবও দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে চালু হয়ে গেল নির্বাচনী বিধি।
২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়েছিল সাত দফায়। গোটা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করছে বিরোধীরা। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে খুন-হামলা-মনোনয়ন পেশে বাধার অভিযোগ উঠেছিল। সে কথা স্মরণ করিয়েই বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে ভোট চাইছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কি ব্যবহার করবে রাজ্য সরকার? রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, 'রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে'।
বিগত পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার প্রসঙ্গ তুলে সরকারি কর্মীরা নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এনিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, 'রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখা উচিত। সরকারি কর্মচারীরা আমাদের সহকর্মী। আমাদের উপর আস্থা রাখতে বলব।'
ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক চেয়েছিল বিরোধীরা। রাজীব সিনহা জানান, এই ধরনের কোনও বিধি নেই। মনোনয়ন পেশের জন্য সময় কম দেওয়া হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, শাসক দলকেই সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
মোট ২২টি জেলায় ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে এ রাজ্যে। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৫৯৪। মোট পঞ্চায়েত আসন ৬৩ হাজার ২৮৩টি। ৮ জুলাই, শনিবার এই ৬৩ হাজার ২৮৩টি আসনে একদফাতেই ভোটগ্রহণ। ভোট গণনার সম্ভাব্য তারিখ ১১ জুলাই, মঙ্গলবার।