ভার্চুয়াল দূতাবাস খোলার প্রস্তুতি বার্বাডোজের। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ। এবার সেই দেশটিই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পৃথক দূতাবাস খোলার চেষ্টা করছে। ডিসেন্ট্রাল্যান্ডে কূটনৈতিক কম্পাউন্ড তৈরি করা হচ্ছে। এটি একটি অনলাইন দুনিয়া বা মেটাভার্স (Metaverse)। এটিকে অ্যাকসেস করার জন্য কম্পিউটার বা রিয়েলিটি হেডসেটের প্রয়োজন। প্রসঙ্গত সম্প্রতি Decentraland-এ একটি ভার্চুয়াল রিয়েল এস্টেটকে ২.৪৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করা হয়।
ক্রিপ্টো অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফর্ম Grayscale অনুযায়ী মেটাভার্স থেকে ট্রিলিয়ন ডলার রাজস্বের সুযোগ রয়েছে। আর তারই সুবিধা নিতে চাইছে বার্বাডোজ। সেখানকার ডিজিটাল কূটনীতিকে যিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই Gabriel Abed বলেন, ভার্চুয়াল দূতাবাস অত্যন্ত প্রয়োজন। Nationalpost-কে তিনি বলেন, বিশ্বে কাজের ধরন বদলাতে চলেছে। তিনি এও বলেন, জমিই যেখানে আসল নয়, সেখানে দূতাবাস অত্যন্ত ছোট বিষয়।
মেটাভার্স দ্রুত এগোনোর কারণেই, ফেসবুকের নাম বদলে মেটা করা হয়েছে। সম্প্রতি কানাডার ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারী Tokens.com ২.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে অনলাইন এনভায়রমেন্টের ফ্যাশান স্ট্রিট এলাকায় ৬০৯০ ভার্চুয়াল স্কোয়ারফিট জমি কিনেছেন।
Abed জানাচ্ছেন, মেটাভার্স মূলত তাদের মতো দেনায় ডুবে থাকা ছোট দেশগুলির জন্য। তিনি আরও বলেন, বার্বাডোজে কূটনৈতিক কম্পাউন্ড তৈরির খরচ ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলারের মধ্যে হতে পারে। তাঁর মতে বাস্তবের দূতাবাস তৈরির চেয়ে এর খরচ অনেক কম।
Abed বলেন, এই প্রচেষ্টা বিফলেও যেতে পারে। তবে সফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁর মতে এর সফলতা নির্ভর করছে অন্যান্য কীভাবে এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তার ওপর। আর সেই কারণে মেটাভার্স নিয়ে তাঁরা যেটাই শিখছেন সেটাই তাঁদের সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন বলেও জানান Abed।