বিহারের মুজাফফরপুরের বিখ্যাত শাহী লিচুর চাষ এখন দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতেও বৃদ্ধি পাবে। তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে শাহী লিচুর চাহিদা রয়েছে। জাতীয় লিচু গবেষণা কেন্দ্র এই রাজ্যগুলিতে শাহী লিচুর জোগান বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এর জন্য ক্যাম্পাসে লিচু ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই ব্যাঙ্কে ৩৭ হাজার চারা তৈরি করা হচ্ছে। এই গাছগুলি বিভিন্ন রাজ্যে কৃষকদের মধ্যে পাঠানো হচ্ছে যেখান থেকে চাহিদা আসছে।
লিচু গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. বিকাশ দাস জানান, ক্যাম্পাসের নার্সারিতে ৫০ হাজার গাছের ধারণক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে এখানে ৩৭ হাজার নতুন চারা তৈরি করা হচ্ছে। যা যথাযথভাবে দেখাশোনা করা হচ্ছে। এ জন্য একজন বিজ্ঞানীকে নার্সারি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই নার্সারিতে শাহী ও চীনের পাশাপাশি লিচু গবেষণা কেন্দ্রে গন্ডকী যোগিতা, গন্ডকী লালিমা এবং গন্ডকী সম্পদের তিনটি প্রজাতিও রয়েছে।
যেসব রাজ্যে লিচুর চাহিদা রয়েছে তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্র থেকে ১০০০ চারা, ছত্তিশগড় এবং অরুণাচল প্রদেশ থেকে সাত হাজার এবং সিকিম থেকে ৪০ হাজার শাহী লিচু গাছের অর্ডার পাওয়া গেছে। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের গুমলা থেকেও চারার অর্ডার পাওয়া গেছে। কৃষকদের পাশাপাশি কৃষি উন্নয়ন কেন্দ্র থেকেও লিচু গাছের চাহিদা এসেছে। সেগুলো সময়মতো সরবরাহ করা হচ্ছে। এভাবে শাহী লিচুর পরিধি বাড়বে।
ডাঃ বিকাশ দাস বলেন, শাহী লিচু রপ্তানি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য। লিচু দেশের বাইরে রপ্তানি হলে চাষিরা ভালো আয় করবে। এ জন্য কৃষি বিভাগ, জাতীয় উদ্যানপালন বোর্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষকদের চাহিদা যেখান থেকে আসছে সেখানে চারা পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া নারীদের স্বাবলম্বী করতে লিচু সংক্রান্ত পণ্যের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।