scorecardresearch
 

Petrol Car Vs Electric Car: পেট্রোল গাড়ি বদলে ইলেক্ট্রিক গাড়ি, ২৪ লক্ষ টাকা লাভ হতে পারে

Petrol Car Vs Electric car: যদি আপনি ইলেকট্রিক গাড়ি কেনেন, তাহলে আপনারা আদৌ লাভ কতটা করতে পারবেন? পরিবেশ দূষণের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, কিন্তু আপনার আর্থিক কোনও লাভ রয়েছে কি? যদি না থাকে তাহলে মানুষকে কিন্তু এই গাড়ি দীর্ঘ মেয়াদে কিনতে উদ্বুদ্ধ করা কঠিন। আসুন এখন আমরা জেনে নিই পেট্রোল গাড়ি এবং ইলেকট্রিক গাড়ির তুল্যমূল্য ব্যবহার এবং খরচ। হিসেব বুঝলে অবাক হয়ে যাবেন।

Advertisement
পেট্রোল গাড়ি বদলে ইলেক্ট্রিক গাড়ি, ২৪ লক্ষ টাকা লাভ হতে পারে পেট্রোল গাড়ি বদলে ইলেক্ট্রিক গাড়ি, ২৪ লক্ষ টাকা লাভ হতে পারে
হাইলাইটস
  • পেট্রল কার বদলে নিন ইলেকট্রিক গাড়ি
  • ২৪ লাখের ফায়দা ঘরে তুলতে পারবেন

Petrol Car Vs Electric car: দ্রুত ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রি বাড়ছে। এখন আপনি খুব সহজেই রোডে ইলেকট্রিক টু হুইলার গাড়ি দেখতে পাবেন। সমস্ত অটোমোবাইল কোম্পানিগুলি লাগাতার ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করতে শুরু করেছেন। কারণ লোকেরা এখন ইলেকট্রিক গাড়ি কিনছেন। মে-২০২৩ এ মোট ইলেকট্রিক গাড়ি ১ লক্ষ ৫৭৩৩০টি বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে টু হুইলার, গাড়ি, বাস, ট্রাক সমস্ত রয়েছে। যেখানে কেবল প্যাসেঞ্জার গাড়ি গোটা দেশে প্রায় ৭ হাজার ৪৪৩ ইউনিট ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিক্রি হয়েছে। এর আগে সবচেয়ে বেশি মার্চ ২০২৩-এ ৮৮০৫টি ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়েছিল।

পেট্রল বনাম ইলেকট্রিক গাড়ি

এখন আসুন আমরা জানিয়ে দিই যদি আপনি ইলেকট্রিক গাড়ি কেনেন, তাহলে আপনারা আদৌ লাভ কতটা করতে পারবেন? পরিবেশ দূষণের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, কিন্তু আপনার আর্থিক কোনও লাভ রয়েছে কি? যদি না থাকে তাহলে মানুষকে কিন্তু এই গাড়ি দীর্ঘ মেয়াদে কিনতে উদ্বুদ্ধ করা কঠিন। আসুন এখন আমরা জেনে নিই পেট্রোল গাড়ি এবং ইলেকট্রিক গাড়ির তুল্যমূল্য ব্যবহার এবং খরচ। এত বছর ধরে পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়িতেই মানুষ অভ্যস্ত ছিল। তারপরে আসে সিএনজি এবং সমস্ত কিছুকে ছাড়িয়ে ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে নেমেছে বেশ কিছু বছর হল এবং গত কয়েক বছরে তা হুড়মুড়িয়ে বিক্রি বাড়ছে।

ইলেকট্রিক গাড়ি এত দাম কেন?

এখন দেশের বেস্ট সেলিং ইলেকট্রিক কার টাটা নেক্সন ইভির মডেল। টাটা (nexon evm)  টাটা নেক্সন ইভির শুরুর দাম ১৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। নেক্সন ইলেকট্রিক ৫টি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। এই গাড়িটি কেবল ৯.৯ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ৯৯ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি ধরতে পারে। এখন পেট্রোলওয়ালা নেক্সন এর কথা যদি বলি তাহলে সেটি শুরুর দাম ৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। যেখানে দিল্লিতে নেক্সন এর পেট্রোল অন রোডের দাম ৮ লাখ টাকা শুরু থেকে ১৬ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

Advertisement

পেট্রলের চেয়ে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম প্রায় দ্বিগুণ

যদি ইলেকট্রিকওয়ালা নেক্সন, পেট্রোলওয়ালা নেক্সনের তুলনা করি, তাহলে গাড়ির দাম প্রায় ডবল। tata nexon পেট্রলের শুরুর দাম ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। যেখানে এরই ইলেকট্রিক ভ্যারিয়েন্ট এর শুরুর দাম ১৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এই দুটো গাড়ির মধ্যে প্রায় আট লাখ টাকার পার্থক্য রয়েছে। একই মডেল এবং একই ফিচারস থাকা সত্ত্বেও ইলেকট্রিক গাড়ির দাম এত বেশি কেন? বেশ কিছু রাজ্যে কমবেশি সাবসিটি মেলে ইলেকট্রিক গাড়িতে তাতে কিছুটা দাম কমে। তবুও তা পেট্রোল-ডিজেল গাড়ির চেয়ে অনেকটাই বেশি।

কোন গাড়ির কোথায় লাভ?

১. পেট্রেল গাড়ির খরচ

যদি আপনি টাকা নেক্সন এক্সএম পেট্রোল কেনেন যার এক্স শোরুম দাম ৮ লাখ ৮৯,৯৯০ টাকা। যার অন রোড প্রাইস প্রায় ১০ লাখ টাকার কাছাকাছি। যদি আপনি রোজ এই গাড়ি ৫০ কিলোমিটার চালান, অর্থাৎ গোটা মাসে যদি ১৫০০ কিলোমিটার সফর করেন। উদাহরণের জন্য পেট্রোল ১০০ টাকা প্রতি লিটার। তাহলে এই হিসেবে গোটা মাসে খরচ হচ্ছে ৮৬২০ টাকা। যা গোটা বছরে ১ লাখ ৩ হাজার ৪৪০ টাকা খরচ হয়। পাঁচ বছরে এই খরচ ৫ লাখ ১৭২০০ টাকা হয়ে যায়। যদি ৮ বছরে মোট ৮ লাখ ২৭ হাজার ৫২০ টাকা পেট্রোল আপনি খরচ করে ফেলবেন। (এই ক্যালকুলেশন ১৭.৪ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ হিসেবে ধরা হয়েছে)

২. ইলেকট্রিক গাড়ির খরচ

এবার ইলেকট্রিক নেক্সন এর কথা যদি বলি, তাহলে শুরুর দাম ১৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এই গাড়ি চালানোতে প্রতি কিলোমিটার প্রায় ১ টাকা খরচ হয় এতে ৫০ কিলোমিটার রোড চললে মাসে কেবল ১৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। গোটা বছরে ১৮৫০০ টাকা, ৫ বছরে ৯০ হাজার টাকা এবং ৮ বছর চালালে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

সেভিংস এর ফর্মুলা

এই পরিস্থিতিতে পেট্রোল ওয়ালা নেক্সন রোজ ৫০ কিলোমিটার সফর করার পর ৫ বছর পর ৫ লাখ টাকা এবং ৮ বছর পর ৮ লাখ টাকার বেশি পেট্রোল খরচ হচ্ছে। যেখানে নেক্সন ইলেকট্রিক, ৫ বছর পর ১ লাখের কম এবং ৮ বছরে ১ লাখ ২৬ টাকা খরচ হচ্ছে। অর্থাৎ ৮ লাখ টাকার পেট্রোল কার কিনে আপনি ৮ বছরে অতটাই পেট্রোল খরচ করে ফেলেছেন। সেখানে ৮ বছর পরে ২টি গাড়ির যদি আপনি তুলনা করেন তাহলে এক সমান খরচ হয়ে যাবে। কিন্তু গাড়ির ভ্যালু সেই সময় ইলেকট্রিক কারের বেশি থাকবে। কারণ ৮ বছরের পর পেট্রোল কারের দাম অর্ধেক হয়ে যায়। প্রায় ৪ লাখ টাকার কাছাকাছি। সেখানে ইলেকট্রিক গাড়ির ভ্যালু এই সময়ে কমপক্ষে ৮ লাখ টাকা থাকে।

এটা হল আরেকটা বিকল্প

আসলে পেট্রোল নেক্সন কেনার বদলে ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার ফলে আপনার এখন থেকেই সেভিং শুরু হচ্ছে। এটি আপনি আগামী ৮ বছরে পেট্রলে খরচ করবেন। সেভিংসের ফর্মুলা হলো যে আপনি ইলেকট্রিক কার কেনার পর, পেট্রলে যে টাকা খরচ হতো, সেই টাকা প্রত্যেক মাসে মিউচুয়াল ফান্ডে SIP করে দিন। দেওয়া উদাহরণ অনুসারে মাসে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকার পেট্রোল খরচ হতো সেখানে আপনি এসআইপি করে দেন আট বছরে ১২ শতাংশ হিসেবে প্রায় ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। আর ১৫ শতাংশ রিটার্ন হিসেবে ১৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় যদি আপনি ৮ বছর পরে পুরনো ইলেকট্রিক গাড়ি অর্ধেক দামে অর্থাৎ ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন তাহলে আপনার এসআইপি থেকে জমা ফান্ড মিলিয়ে একটা ভালো টাকা জমা হয়ে যাবে। তাহলে আপনার কাছে গাড়ির মেয়াদ শেষে ২৪ লক্ষ টাকা জমা হয়ে গেল। এই জমা টাকা দিয়ে আপনি নতুন ভালো গাড়িও কিনতে পারবেন। অথবা সেই টাকা অন্য কাজেও লাগাতে পারবেন। এখানে পেট্রোল গাড়ি কেনার ৮ বছর পর গাড়ির দাম কমে আপনাকে সাদাহাতি পালতে হবে। এখন আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, যে আপনি কোন গাড়ি কিনবেন।

Advertisement

 

Advertisement