দেশে বিনিয়োগের সরকারি-বেসরকারি অনেক স্কিম রয়েছে। এই স্কিমগুলির মধ্যে একটি হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF)। এই স্কিমে বিনিয়োগ করে ভাল রিটার্নও পাওয়া যায়। যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে চান তবে পিপিএফ একটি ভাল স্কিম হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। তবে পিপিএফ স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, অন্যথায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
পিপিএফ-এর সুবিধা
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) মূলের উপর কর ছাড় দেয়। এটি সুদও প্রদান করে। বর্তমানে এই স্কিমে সুদের পরিমান ৭.১ শতাংশ। পিপিএফ বিনিয়োগের কিছু সুবিধা হল, ন্যূনতম ঝুঁকিতে আকর্ষণীয় সুদের হার। এছাড়াও ঋণের সুবিধা এবং আংশিক টাকা তোলার সুবিধাও রয়েছে। আপনি আপনার ব্যালেন্স চেক করতে পারেন, ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন এবং যেকোনও জায়গা থেকে এবং যেকোনও সময় অনলাইনে মিনি স্টেটমেন্ট দেখতে পারেন।
সরকারি গ্যারান্টি
পিপিএফ অ্যাকাউন্ট দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন উদ্দেশ্যে, যেমন অবসরকালীন সঞ্চয় করার জন্য বিনিয়োগ করতে সহায়তা করে। পিপিএফ বিনিয়োগ নিরাপদ, কারণ ভারত সরকার এই স্কিমের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
বিনিয়োগ করা যাবে এত টাকা...
যেহেতু সুদের হার ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি করা হয়, তাই পিপিএফ-এর আয় নিরাপদ। এটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত রিটার্নের জন্য ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের একটি মাধ্যম। কোনও এক আর্থিক বছরে একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
যেখানে হতে পারে সমস্যা...
যদি পিপিএফ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করেন, তাহলে মনে রাখবেন কোনও আর্থিক বছরে ন্যূনতম ৫০০ টাকা জমা করতে হবে। নয়তো পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সুদ প্রভাবিত হবে। এতে অনেক টাকার ক্ষতিও হবে। একইসঙ্গে পিপিএফ অ্যাকাউন্টটিও নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টটি পুনরায় চালু করার জন্য অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হতে পারে। তাই পিপিএফ অ্যাকাউন্টে অবশ্যই একটি আর্থিক বছরে কমপক্ষে ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করুন।
আরও পড়ুন - বুদ্ধ পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ, ১৩০ বছর বিরল যোগে ৩ রাশির ফাটফাটি উন্নতি