বহু চাকরিজীবী মানুষেরই অভিযোগ, বেতন ভালই পাচ্ছেন, কিন্তু তবুও হাতে টাকা থাকছে না। খরচ বেশি বলেই টাকা থাকে না বলে শোনা যায় তাঁদের মুখে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের মানুষেরা খরচ ও বাজে খরচের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থান। কিন্তু বর্তমান সময়ে রোজগার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই খরচও বেড়ে যায়। লাইফস্টাইলে আসে পরিবর্তন। এমতাবস্থায় আয় কম থাকলেও পকেট খালি, আয় বাড়লেও একই অবস্থা, কারণ তাঁরা এক টাকাও সঞ্চয় করতে পারেন না। এক্ষেত্রে কিছু বাজে খরচের (Waste Of Money) জন্যই এমনটা হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও কোনও কোনও মানুষের কাছে সেগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবুও প্রয়োজনে সেগুলিতে রাশ টানা যেতে পারে।
বাইরে খাওয়াদাওয়া - অনেকেই আজকার বাইরে খেতে যেতে বা খাবার আনিয়ে খেতে পছন্দ করেন। অনেক সময় হয়তো এটা প্রয়োজন, তবে কোনও কোনও সময় আবার মানুষ পরিশ্রম এড়ানোর জন্য এমনটা করে থাকেন। এক্ষেত্রে বাইরে যে টাকা খরচ হয়, তার অনেক কম খরচে বাড়িতেই খাবার তৈরি হয়ে যাবে। আর বাড়ির খাবার খেলে স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
ভ্রমণ - কাজের চাপের মাঝে একটু মনমেজাজ ফ্রেশ করার জন্য ভ্রমণের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ আছেন প্রায় প্রতি মাসেই বেড়াতে (Tourism) যান। আর সেই সমস্ত মানুষেরাই আবার অভিযোগ করেন যে তাঁদের কাছে টাকা থাকছে না।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা - মাঝেমধ্যেই দেখা যায় কেউ কেউ কোনও অপ্রয়োজনীয় বা বিশেষ প্রয়োজনীয় নয় এমন জিনিস কেনেন। আর তার কিছুদিন পরে পস্তান। অনেকে আছেন আবার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে যা ইচ্ছা কিনে ফেলেন। কিন্তু এই অভ্যাসে লাগাম পরাতে না পারলে হাতে কিছুতেই টাকা থাকবে না।
শপিং- কেউ কেউ বাজারে একটি বা দুটি জিনিস কিনতে গিয়ে অনেক কিছু কিনে (Shopping) ফেলেন। যেমন পোশাক। কারও কারও আবার দামী ব্র্যান্ডর জিনিস কেনার দিকেও ঝোঁক থাকে। কিন্তু এই অভ্যাস যদি এখনই না পরিত্যাগ করেন, বা দামী ব্র্যান্ডের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত সস্তার জিনিসপত্র কেনা অভ্যাস না করেন তাহলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
মদ্যপান ও ধূমপান - এই অভ্যাস শুধু অর্থ নয়, স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকেই মদ্যপান ও ধূমপানের (Smoking And Drinking) জন্য অনেক টাকা ব্যয় করেন। যদি এই খরচ বন্ধ করা যায় তবে স্বাস্থ্য ও অর্থ দুই-ই বাঁচে। এছাড়াও আরও অনেক ধরনের বাজে খরচ রয়েছে। যেমন কেউ কেউ সেলুনে গিয়ে চুল-দাড়ি কাটানোর পাশাপাশি ফেশিয়াল, ম্যাসাজ ইত্যাদি করান। প্রয়োজনে সেগুলিও এড়ানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন - ফের নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গজুড়ে ৪ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস