scorecardresearch
 

পদ্মশ্রী মুসাম্বি বিক্রেতা ও 'জঙ্গলের এনসাইক্লোপিডিয়া'-র, ট্যুইটার সরগরম

কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা হরেকালা হজব্বা একজন মুসাম্বি লেবু বিক্রেতা। তিনি কোনও দিন স্কুলের শিক্ষা পাননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি 'অক্ষর সন্ত' নামে পরিচিত। কারণ তিনি লেবু বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেছেন তা থেকেই গ্রামে একটি স্কুল তৈরি করেছেন, যাতে শিশুরা পড়াশোনা শিখতে পারে। এহেন ব্যক্তিত্ব যখন পদ্মশ্রী নিতে পৌঁছান, তখন সকলে হাততালি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। 

Advertisement
পদ্মশ্রী নিচ্ছেন হরেকালা হজাব্বা এবং তুলসী গৌড়া পদ্মশ্রী নিচ্ছেন হরেকালা হজাব্বা এবং তুলসী গৌড়া
হাইলাইটস
  • মুসাম্বি বিক্রির টাকায় স্কুল বানিয়ে পদ্ম পুরস্কার
  • ৬ দশক ধরে পরিবেশ নিয়ে কাজ করায় পদ্মশ্রী সম্মান
  • মোট ১১৯ জনকে দেওয়া হল পদ্ম পুরস্কার

পদ্মশ্রীতে সম্মানিত হলেন মুসাম্বি লেবু বিক্রেতা হরেকালা হজব্বা এবং পরিবেশবিদ তুলসী গৌড়া। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। পুরস্কার প্রদানের সময় হাততালির শব্দে গমগম করে ওঠে রাষ্ট্রপতি ভবন। ইতিমধ্যে ট্যুইটারেও আলোচনা শুরু হয়েছে তাঁদের নিয়ে। 

প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা হরেকালা হজব্বা একজন মুসাম্বি লেবু বিক্রেতা। তিনি কোনও দিন স্কুলের শিক্ষা পাননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি 'অক্ষর সন্ত' নামে পরিচিত। কারণ তিনি লেবু বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেছেন তা থেকেই গ্রামে একটি স্কুল তৈরি করেছেন, যাতে শিশুরা পড়াশোনা শিখতে পারে। এহেন ব্যক্তিত্ব যখন পদ্মশ্রী নিতে পৌঁছান, তখন সকলে হাততালি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। 

 

কীভাবে এল স্কুল তৈরির ভাবনা? 
এই প্রসঙ্গে হরেকালা হজব্বা জানান, একবার কিছু বিদেশী পর্যটক তাঁর কাছে মুসাম্বির দাম জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু পড়াশোনা না জানার কারণে তিনি দাম বলতে পারেননি। যার জেরে লজ্জিত হতে হয় তাঁকে। এরপরেই গ্রামে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেন হরেকালা। মুসাম্বি বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেছিলেন তা দিয়েই ২০০০ সালে গ্রামে একটি স্কুল তৈরি করেন তিনি। তার আগে ওই গ্রামে কোনও স্কুল ছিল না। 

হরেকালা হজাব্বা এই পুরস্কার নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে ট্যুইটারে। বিভিন্ন কমেন্টও করছেন ইউজাররা। কেউ লিখছেন, 'নিস্বার্থ সেবার ফল', কেউ আবার লিখেছেন 'আসল সম্মান'। হজাব্বার উদ্দেশ্যে আরও এক ইউজার লিখেছেন, 'আপনি অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন।'

Advertisement

পদ্মশ্রীতে ভূষিত হলেন কর্ণাটকের আদিবাসী মহিলা তুলসী গৌড়াও। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে 'জঙ্গলের এনসাইক্লোপিডিয়া' বলা হয়। তিনি নিজেই ৩০ হাজারের বেশি বৃক্ষরোপন করেছেন। তাছাড়া বেশকিছু নার্সারির দেখাশোনাও করেন তিনি। গত ৬ দশক ধরে এই কাজ করে চলেছেন তুলসী গৌড়া। 

গাছপালা ও জরিবুটির বিষয়ে প্রভূত জ্ঞানের জন্য তাঁকে জঙ্গলের এনসাইক্লোপিডিয়া বলা হয়ে থাকে। চিরাচরিত আদিবাসী পোশাকে এবং খালি পায়ে রাষ্ট্রপতি ভবেন পুরস্কার নিতে যান তিনি। এদিকে তাঁর এই পুরস্কার প্রাপ্তির পর ট্যুইটারে বিভিন্ন কমেন্ট করতে দেখা গিয়েছে ইউজারদের। কেউ লিখেছেন 'প্রেরণা যোগানোর মতো কাহিনী', তো কেউ আবার তাঁকে 'রিয়েল হিরো' বলেছেন। প্রসঙ্গত, সোমবার মোট ১১৯ জনকে পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৭ জন পেয়েছেন পদ্মবিভূষণ, ১০ জন পেয়েছেন পদ্মভূষণ এবং ১০২ জন পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার।  


 

Advertisement