ভারতের বিখ্যাত ঐতিহাসিক গৌড়ের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তি। দেখতে আসেন দেশ বিদেশের পর্যটকরা। কিন্তু এখন ছবিটা কার্যত উল্টো। পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও এখন কার্যত এটি হয়ে গেছে উন্মুক্ত গো চারণ ক্ষেত্র! প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে গরু ছাগল। সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যায়নের কাজও বন্ধ। এমনটাই ছবি এখন মালদায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা ভারতের বিখ্যাত ঐতিহাসিক গৌড়ের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তি।
বেহাল অবস্থা
দীর্ঘ অবহেলা আর প্রশাসনিক গাফিলতিতে আজ বিপন্ন গৌড়ের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের অধীনে থাকা ১৬ টি বহুমূল্যবান স্থাপত্য। এক সময় বাংলার রাজধানী এই গৌড়ের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্যকীর্তির আকর্ষণে দেখতে আজও ছুটে আসেন বহু দেশ বিদেশের পর্যটকরা।
কিন্তু দীর্ঘ অবহেলা আর প্রশাসনিক গাফিলতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ গৌড়ের ১৬ টি সৌধের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ। বিভিন্ন সৌধের চারিদিকে এখন ঝোপ-জঙ্গল। প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে গরু ছাগল। বিভিন্ন সৌধের চারিদিক এখন উন্মুক্ত গো চারণ ক্ষেত্র! ফলে আগ্রহ হারাচ্ছে পর্যটকরা,আর দীর্ঘ অবহেলায় ভারতের ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এই সমস্ত মূল্যবান ঐতিহাসিক স্থাপত্য কীর্তি।
আরও পড়ুন, সতীপীঠে ৩ ধর্মের স্থাপত্যের নিদর্শন, জানুন মা কিরীটেশ্বরীর মাহাত্ম্য
সৌধের চারিদিকে এখন ঝোপ-জঙ্গল
গৌড়ের ১৬ টি সৌধের রক্ষণাবেক্ষণে থাকা কর্মীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে গৌড়ের বিভিন্ন ঐতিহাসিক সৌধে সৌন্দর্যায়নের নিযুক্ত কর্মীদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বহু আবেদন-নিবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। তাই এই বেহাল অবস্থা। এই সৌধ গুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিযুক্ত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের সরকারি কর্মীর বক্তব্য, আমরা চোখের সামনেই দেখছি নষ্ট হচ্ছে ইতিহাস! কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। সমস্ত বিষয় উপরে জানানো হয়েছে। তবে কবে থেকে রক্ষণাবেক্ষনের কাজ শুরু হতে পারে তার কোনও স্পষ্ট জবাব নেই তার কাছে। ফলে চোখের সামনেই কার্যত হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক এই স্থাপত্যকীর্তি। একসময়ে প্রচুর পর্যটকর এখানে আসলেও বর্তমানে তা হাতেগোনা। বরং এখন গরু-ছাগলের জন্য চারণভূমি তৈরি হয়েছে এই এলাকায়। প্রশাসনও কোনও পদক্ষে না নেওয়ায় এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যকীর্তির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।