scorecardresearch
 

ঔদ্ধত্যের অভিযোগ বিধানসভাবাসীর, হেরে সাধারণ মানুষ হওয়ার আশ্বাস গৌতমের

ঔদ্ধত্যের অভিযোগ বিধানসভাবাসীর, সাধারণ মানুষ হওয়ার আশ্বাস গৌতমের। জীবনে প্রথম কোনও নির্বাচনে হারের পরদিন নিজের বাড়িতে বসে আত্মোপলব্ধি গৌতম দেবের। পাশাপাশি তাঁর লেখা একটি বই এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। সময় পাচ্ছিলেন না। তা শেষ করবেন বলে জানালেন। ইতিমধ্যেই গান গেয়ে গায়ক হিসেবে হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর। তাই নেতা, গায়ক এবার লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ সময়ের অপেক্ষা বলে জানিয়েছেন নিজেই।

Advertisement
হাইলাইটস
  • সাধারণ মানুষ হবেন আশ্বাস গৌতম দেবের
  • অবসরে বই লিখবেন প্রাক্তন মন্ত্রী
  • হারের স্বাদ নিচ্ছেন গৌতম? দাবি তাঁর

ঔদ্ধত্যের অভিযোগ বিধানসভাবাসীর, সাধারণ মানুষ হওয়ার আশ্বাস গৌতমের। জীবনে প্রথম কোনও নির্বাচনে হারের পরদিন নিজের বাড়িতে বসে আত্মোপলব্ধি গৌতম দেবের। পাশাপাশি তাঁর লেখা একটি বই এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। সময় পাচ্ছিলেন না। তা শেষ করবেন বলে জানালেন। ইতিমধ্যেই গান গেয়ে গায়ক হিসেবে হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর। তাই নেতা, গায়ক এর পর এবার লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ সময়ের অপেক্ষা বলে জানিয়েছেন নিজেই।

গৌতম বাণী

এই প্রথম কোনও নির্বাচনে হার। তাই এই পরাজয়ের স্বাদ অনুভব করছি। অসম্পূর্ণ বই লিখে সময় কাটাবো। এদিন গৌতম দেব বলেন, হারের কারণ কি তা পর্যালোচনা করছি। তবে এখন কোনও সাধারণ মানুষের মতো

মানুষের সঙ্গে, পাশে থাকার আশ্বাস

এলাকাবাসীর পাশে থাকবো। ছাত্রজীবন থেকে সক্রিয় রাজনীতি। কোনদিনই কোনও নির্বাচনে হারেননি তিনি। জীবনে এই প্রথম কোনও নির্বাচনে হার স্বীকার করতে হয়েছে তাঁর। তাই এই পরাজয়ের স্বাদ তাঁর কাছে নতুন। সেটিও তিনি অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন। ২০১৯ লোকসভা ভোটে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি থেকে বিপুল ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে থাকলেও তিনি পিছিয়ে আসেননি বলে তাঁর দাবি। তাঁর কাছে শিলিগুড়িতে সুযোগ থাকলেও, তিনি তাঁর নিজের কর্মক্ষেত্র ডাবগ্রাম ফুলবাড়িকে বেছে নিয়েছেন। লোকসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী ওই কেন্দ্রে প্রায় ৮৪ হাজার ভোটের ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও "আমি আমার কর্তব্য থেকে সরে আসিনি।" আগামী দিনে দল যেভাবে দায়িত্ব দেবে দলের কথা মত সেই ভাবে কাজ করবেন বলেও জানান। বর্তমানে বেশ কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। "সে কাজগুলোকে অতি দ্রুততার সাথে সমাপ্ত করব। একটি বই লিখছিলাম, বইটি লেখা অসমাপ্ত রয়েছে। তাই বাকি সময় বইটির লেখা সম্পূর্ণ করব।"

হারের খতিয়ান

পরপর দুবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক এবং রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী থেকেও নিজের জয় ধরে রাখতে পারলেন না তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। বিজেপি প্রার্থী শিখা চ্যাটার্জির কাছে প্রায় ২৭ হাজার ৫৯৩ ভোটে পরাজিত হন গৌতম দেব।

Advertisement

লোকসভা থেকেই পিছিয়ে তৃণমূল

লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে রাজ্যে বিজেপি ঝড়ের প্রভাব পড়েছিল শিলিগুড়ি লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রায় ৮৪ হাজার ভোটের লিড দেয়। এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী ডঃ জয়ন্ত রায়। জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩০৯৯১৭ জন।যার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৫৯৩০২ জন( নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী)। প্রসঙ্গত ২০১১ সালে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি রাজগঞ্জ থেকে ভেঙে নতুন সংযোজিত হয়। প্রথমবারই তা তৃণমূলের দখলে আসে। পরের বারও ২০১৬ সালে ওই কেন্দ্র থেকে গৌতম দেব ১ লক্ষ ৫ হাজার ৭৬৯ ভোট পেয়ে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী দিলীপ সিংকে পরাজিত করেন। এরপর থেকেই এলাকায় পদ্ম শিবির নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে। যার প্রতিফলন ঘটলো ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে।

২০১৬ সালের পরিসংখ্যান

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের তথ্য অনুযায়ী পরিকেন্দ্র থেকে গৌতম দেব মোট ভোট পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৫ হাজার ৭৬৯। অপরদিকে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ভোট পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ৯৫৮ এবং বিজেপি প্রার্থী রথীন্দ্র বোসের মোট ভোট ছিল ২৬ হাজার ১৯৫। কিন্তু লোকসভা ভোটে বামেদের ভোট গিয়ে পড়ে বিজেপির খাতায়। জানা গেছে ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রায় ৮৪ হাজার ভোট লিড ছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনে একই ধারা অব্যাহত থাকল। এই পরিস্থিতিতে নিজের পুরনো জমিকে ফের পুনরুদ্ধার করা এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের এবং গৌতম দেবের।

 

 

Advertisement