গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) নেতা বিমল গুরুং-এর (Bimal Gurung) সভার স্থান বদল। শিলিগুড়ি (Siliguri) বাঘাযতীন পার্কের পরিবর্তে গান্ধী ময়দানে হবে সভা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিমল গুরুং গোষ্ঠীর নেতা বিশাল ছেত্রী এই কথা জানান। তিনি বলেন,"মাঠ ছোটো হওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" সভায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলেই দাবি বিমলপন্থীদের। জানা গেছে, সভার পর আপাতত শিলিগুড়িতেই ঘাঁটি গাড়বেন বিমল। তাঁর পাহাড়ে যাওয়ার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই মোর্চা সূত্রে খবর। এদিন বিশাল ছেত্রী আরও জানান, "কিছু লোক রয়েছেন যাঁরা এই সভাকে বানচাল করার চেষ্টা করছেন। তবে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্ত নিময় মেনেই সভা পরিচালিত হবে।"
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে গা ডাকা দিয়ে থাকার পর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছেন একদা পাহাড়ের 'শেষ কথা' বিমল গুরুং। প্রকাশ্যে এসেই এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের কথা বলেছেন তিনি। যদিও বিমলদের সমর্থন নেওয়া হবে কি না সেবিষয়ে অবশ্য এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বিমল গুরুং শিবির কিন্তু চুপ করে বসে নেই। ইতিমধ্যেই কার্শিয়াং-এ সভা করেছেন বিমলপন্থী মোর্চা নেতা রোশন গিরি। পাশপাশি বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরতে পারেন, এই খবরে উজ্জীবিত তাঁর সমর্থকেরাও।
অন্যদিকে পাহাড়ে বিমলের প্রত্যাবর্তন আটকাতে সক্রিয় বিনয় তামং গোষ্ঠীও। গুরুং যাতে পাহাড়ে না ফেরেন সেই দাবিতে একদিকে যেমন মিছিল হয়েছে পাহাড়ে, অন্যদিকে রোশন গিরি যে জায়গায় সভা করেছিলেন সেই একই জায়গায় পালটা সভা করেছেন বিনয়পন্থী মোর্চা নেতা অনিত থাপা। এছাড়া কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেছেন বিনয় তামাং। যদিও বৈঠকে বিমল গুরুংকে নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলেই পরে জানিয়েছিলেন বিনয়। এদিকে বিমল - বিনয় দড়ি টানাটানির মাঝে বাড়তে শুরু করেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক উত্তাপ। রাজনৈতিক মহল মনে করছে বাস্তবেই বিমল গুরুং পাহাড়ে পা রাখলে সেই উত্তাপ চড়মে পৌঁছবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে পাহাড়ার অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।