দাদার অনুগামীদের নাম দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। শুক্রবার রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানার লাগানোর সময় ব্যানার ভর্তি গাড়ি সহ গাড়ি চালককে শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে গেল পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঠিক কী হয়েছিল
প্রসঙ্গত এদিন সকালে ছট পুজা উপলক্ষে শিলিগুড়ি মহানন্দার লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাটের কাছে ছট পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ব্যানার লাগানো হচ্ছিল। সেই সময় ঘটনাস্থলে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ এসে ব্যানার গুলি সহ গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই গাড়ির চালককে। ঘটনা নিয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলছেন আইন আইনের পথে চলবে, তবে এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই।
পরে ছেড়ে দেওয়া হয় চালককে
অন্যদিকে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারী অথর্ব জানিয়েছেন আমাদের জানা ছিল না উনি ঠিক কি কারণে ওই ব্যানারগুলি নিয়ে এসেছিলেন, তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আচমকা শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার লাগানোও তাঁকে থানায় কেন নিয়ে যাওয়া হবে তা ঘিরেও উঠছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার। প্রত্যেকটি জায়গায় একই বার্তা দেওয়া হচ্ছে আমরা দাদার অনুগামী। এমন পোস্টার দেখার পরেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন বেড়েছে। বিশেষত বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে রাজ্য শাসকদলের। সম্প্রতি একের পর এক অরাজনৈতিক সভাতেও দেখা যাচ্ছে। সেই সব সভা থেকে তিনি আবার কৌশলী বার্তাও দিচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি আবার বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দল থেকে তাড়াননি। তিনিও দল ছেড়ে যাননি। এখনও রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হিসাবে রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, রফাসূত্র নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে একদফা বৈঠকও হয়েছে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের। তার মাঝেই শুভেন্দুর পোস্টার নিয়ে যাওয়ায় আটক হলেন গাড়ি চালক। যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর।