গতকাল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। বিজেপি নেতৃত্ব জেলার নেতাদের গুরুত্ব দেন না, সেই কারণে দল ছেড়েছেন। জানিয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদ। তবে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বলছে অন্য কথা। তাদের দাবি গঙ্গাপ্রসাদ দল ছাড়বে সে কথা একুশের নির্বাচনের আগে থেকেই জানত তারা।
এবছর একুশের নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। ৫টির মধ্যে সবকটি আসনই পেয়েছে তারা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই জয়ের অন্যতম কারিগর গঙ্গাপ্রসাদ। তবে গেরুয়া নেতৃত্বের দাবি, গঙ্গাপ্রসাদ দলের সভাপতি ছিলেন ঠিকই তবে তাঁর একার চেষ্টায় ভালো ফল হয়নি। বরং, গঙ্গাপ্রসাদ যে দল ছাড়বে সেকথা তাঁরা আগেই আঁচ করেছিলেন।
এই নিয়ে আজতক বাংলাকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, 'গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা দল কেন ছাড়লেন সেটা বলতে পারব না। তবে উনি যে দল ছাড়বেন তা ভোটের আগে থেকেই জানতাম। এই নিয়ে দলে আলোচনাও হয়েছিল।'
জেনেও ভোটের আগে দল থেকে কেন বহিষ্কার করা হয়নি গঙ্গাপ্রসাদকে? প্রশ্নের উত্তরে সায়ন্তনবাবু বলেন, 'ভোটের আগে দল থেকে বহিষ্কার করলে নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ত। দলের ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগত। তাই ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়েছিল।' রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের আরও সংযোজন, 'গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অভিযোগ করেছেন জেলা নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হত না। তাই তিনি দল ছেড়েছেন। অভিযোগ থাকতেই পারে। সেটা উনি দলের সঙ্গে বসে মিটিয়ে নিলেই পারতেন। এখন আসলে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন বলে এসব বলছেন। ওই একজন চলে যাওয়াতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।'
যদিও সায়ন্তন বসুর বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, গঙ্গাপ্রসাদ আরএসএস করতেন। তাঁর চলে যাওয়া দলের গেরুয়া শিবিরের ভাবমূর্তিতে আঘাত হানবেই।
সায়ন্তন বসুর মতামত নিয়ে আজতক বাংলাকে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, 'এখন বিজেপির কোনও ইস্যু নেই, সেকারণে আমাকে নিয়ে অনেক কথা বলছে। আমি দলীয় নেতৃত্বকে আমার অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তখন কান দেওয়া হয়নি। আমি চলে যাওয়াতে সংগঠন কতটা ভেঙে যাবে বা থাকবে সেটা বিজেপি কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবে।'