scorecardresearch
 

তৃণমূল ০, বিজেপি ৫! সেখানেই কেন দলত্যাগ BJP-র জেলা সভাপতির

দক্ষিণবঙ্গে তেমন সাফল্য না পেলেও, উত্তরবঙ্গে ভালো ভোট পেয়েছে বিজেপি। যার নেপথ্যে অবশ্যই রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলাটি। ২০২১  বিধানসভা আসনে এই জেলাতে একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। ৫টি বিধানসভা আসনই দখল করেছে গেরুয়া শিবির। আলিপুরদুয়ারের লোকসভা আসনটিও বিজেপির দখলে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার থেকে একটি আসন পায় বিজেপি।

Advertisement
গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
হাইলাইটস
  • দলত্যাগ গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার
  • বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে তিনি
  • কেন বিজেপি ছাড়লেন এই নেতা

দক্ষিণবঙ্গে তেমন সাফল্য না পেলেও, উত্তরবঙ্গে ভালো ভোট পেয়েছে বিজেপি। যার নেপথ্যে অবশ্যই রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলাটি। ২০২১  বিধানসভা আসনে এই জেলাতে একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। ৫টি বিধানসভা আসনই দখল করেছে গেরুয়া শিবির। আলিপুরদুয়ারের লোকসভা আসনটিও বিজেপির দখলে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার থেকে একটি আসন পায় বিজেপি। কিন্তু সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় বিজেপির ভোট রাজনীতিতে সবথেকে সফল জেলাতেই খোদ জেলা সভাপতির দলত্যাগ। সোমবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের এই জেলাতে বিজেপিতে বড় ভাঙণ ধরে। প্রচুর বিজেপি কর্মীও রাতারাতি তৃণমূলে সামিল হয়ে যান। 

বিজেপির অন্যতম সফল জেলা সভাপতি

বিজেপির ভোট রাজনীতিতে সবথেকে সফল জেলাতেই এমন কাণ্ড ঘটায় স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা তুঙ্গে। তবে গঙ্গাপ্রসাদ জানিয়েছেন, তিনি চাইলে অনেক আগেই যোগদান করতে পারতেন তৃণমূলে। কিন্তু ভোটের সময়ে তিনি তা করেননি। বিজেপিতে থেকে ৫টি আসন গেরুয়া শিবিরকে তিনি পাইয়ে দিয়েছেন। তারপরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপির সফল জেলা সভাপতিদের মধ্যে গঙ্গাপ্রসাদ একজন। তিনি সভাপতি থাকাকালীন লোকসভা ও বিধানসভাতে গোটা জেলাতে খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল। এক্ষেত্রে দল ছাড়ার কারণ হিসাবে প্রাথমিক ভাবে যা উঠে আসছে পুরাতন বনাম নব্য বিবাদ। সোমবার দলত্যাগ করেই তিনি বলেন জেলা নেতৃত্বে গুরুত্বই দেওয়া হত না দলে। এমনকি দিল্লি গিয়ে কাকে কখন দলে যোগ দেওয়া হবে, সেই বিষয়েও জানানো হত না। সোমবার তিনি অনেকটাই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীর দিকে।

রাজ্যস্তরে দেখা যায়নি

সফল জেলা সভাপতি হয়েও রাজ্যস্তরের রাজনীতিতে সেভাবে দেখা যায়নি গঙ্গাপ্রসাদকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল তাকে। এই কারণটিও হতে পারে। অন্যদিকে,বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন আলিপুরদুয়ারে মাদারিহাট আসনে। এবারও তিনি সেই আসনেই জয়লাভ করেন। অনেকেই মনে করেছিলেন, এবার হয়তো দুবারের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে বিরোধী দলনেতার পদটি দেওয়া হতে পারে। কিন্তু সেটা দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। ফলে সেই বিষয়টিও ভালোভাবে গঙ্গাপ্রসাদ নেননি বলেই মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

জোড়াফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল

উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করার বিষয়ে দাবি করেছিলেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা। তা নিয়েও নিজেদের অবস্থান যদিও জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সোমবার দলবদল করে সেই বিষয়টিতে যে তিনি অসন্তুষ্ট তা জানিয়ে দেন গঙ্গাপ্রসাদ। রাজনৈতিক মহলের মতে, গঙ্গাপ্রসাদকে দলে টেনে বিজেপিকে উত্তরবঙ্গে সবথেকে বড় ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূল। গঙ্গাপ্রসাদ প্রাক্তন আরএসএস নেতা। এবার তাকে ধরেই আলিপুরদুয়ারে জোড়াফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল। 

Advertisement