scorecardresearch
 

রাখঢাক না করেই বিতণ্ডায় জড়ালেন কোচবিহারের নেতারা, হতবাক অভিষেক-পিকে

বৈঠকের শুরুতেই জানতে চাওয়া হয় কী নিয়ে বিবাদ। আর সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পালটা অভিযোগের ডালি খুলে বসেন জেলার নেতারা। যা দেখে এককথায় বিস্মিত অভিষেক ও পিকে।

Advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও প্রশান্ত কিশোর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও প্রশান্ত কিশোর
হাইলাইটস
  • অভিষেক-পিকের সামনেই তৃণমূল নেতাদের বিবাদ
  • বিতণ্ডায় জড়ালেন কোচবিহারের নেতার
  • জেলার চেয়ারম্যানকে বৈঠকের নির্দেশ

বেঠক ডেকেছিলেন দ্বন্দ্ব মেটাতে। কিন্তু যা দেখলেন তাতে রীতিমত হতবাক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর। কোচবিহারে দলের নেতাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা দীর্ঘদিন ধরেই কানে আসছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। বিবাদ মেটাতেই সোমবার সবাইকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের ভোট ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোর। বৈঠক ডাকা হয় শিলিগুড়ির একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে। সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই জানতে চাওয়া হয় কী নিয়েবিবাদ। আর সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পালটা অভিযোগের ডালি খুলে বসেন জেলার নেতারা। যা দেখে এককথায় বিস্মিত অভিষেক ও পিকে।

কোচবিহারের সমীকরণ

সূত্রের খবর কোচবিহারে তৃণমূলের নয়া সমীকরণ অনুযায়ী বর্তমান জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ও বিধায়ক উদয়ন গুহ একদিকে। আর অপরদিকে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, মিহির গোস্বামী হিতেন বর্মনরা। এর মধ্যে জেলা ও ব্লক কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন মিহর গোস্বামী। বিবাদ মেটাতে এদিনের বৈঠকে জেলার প্রায় সব নেতাকেই ডাকা হয়। অসুস্থতার কারণে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ছিলেন না বিদ্রোহী বিধায়ক মিহির গোস্বামীও। 

চেয়ারম্যানকে বৈঠকের নির্দেশ

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিকের সামনে বলার সুযোগ পেয়েই একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে থাকেন নেতারা। সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর জেলার চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে সকলের সঙ্গে বৈঠক করার কথা বলে বলেন অভিষেক 
ও পিকে। এমনকি বৈঠকের সময় ও তারিখও ঠিক করে দেন তাঁরা। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে বিজেপির কাছে পরাস্ত হয় তৃণমূল। তারপর থেকেই দলের অভ্যন্তরিন  বিবাদ মেটাতে আরও বেশি করে ততপর হয় তৃণমূল। এখন দেখার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণণূলের এই ঘরোয়া বিবাদের অবসান হয় কি না। 

Advertisement

Advertisement