পুজোর মুখে হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি অভিভাবকদের। ছাত্রছাত্রীদের বাবা মায়েদের করা মামলার প্রেক্ষিতে বেসরকারি স্কুলগুলিকে ২০ শতাংশ ফি কমানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। হাইকোর্ট আরও বলেছে, ২০ শতাংশ ফি কমানোর পরেও যে সমস্ত অভিভাবকরা তা দিতে পারবেন না তাঁরা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সহ স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আরও কিছুটা ফি কমানের আবেদন করতে পারবেন, এবং সেই আবেদন বিবেচনা করে দেখতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এমনকি আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সন্তানকে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। অভিভাবকরা স্কুলের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে হাইকোর্ট নির্দিষ্ট তিন সদস্যের কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবেন। সেই কমিটিও তৈরি করে দেয় হাইকোর্ট।
শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো যাবে না
নিজেদের নির্দেশে বিচারপতিরা জানিয়েছেন চলতি শিক্ষাবর্ষে কোনও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা যাবে না। যদি করা হবে তবে টিউশন ফি না বাড়িয়েই তা করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। যদিও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন তাঁদের বেতন অনেকটাই কম। সেক্ষেত্রে এর ফলে
অসুবিধায় পড়বেন তাঁরা। একইসঙ্গে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের একাংশের মতে, ক্লাস অনলাইনে হলেও বেতনের খরচ কমেনি। তাই স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের।
অভিভাবকদের আবেদনে মান্যতা
করোনা পরিস্থিতিতে টিউশান ফি ছাড়া অন্যান্য সমস্ত খাতে বরাদ্দ ফি মকুব করার দাবিতে শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি ছিল দীর্ঘ লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে স্কুল। অনেকে কর্মহীন। এই অবস্থায় মকুব করতে হবে টিউশান ফি ছাড়া অন্যান্য সমস্ত টাকা। অনেকক্ষেত্রেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠে অসহযোগিতার অভিযোগ। বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিভাবকরা। হাইকোর্টের এই নির্দেশ তাঁদের আবেদনেই মান্যতা দিল বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।