এবার লক্ষ্য শিল্প। এদিন এমনটাই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কীর্ণাহার থানার উদ্বোধন করেন তিনি। পানাগড়ে পলিথিন কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "নবদ্বীপ ও কোচবিহার হেরিটেজ টাউন। বাংলাতে এই প্রথম। ৩৮টা বাস চালু হয়েছে। দীঘাতে চালু হয়েছে এসবিটিসি ট্রেনিং সেন্টার চালু হয়েছে। পুলিশকে নিয়ে অনেকে ব্যঙ্গ করেন। হাজারটা কাজের মধ্যে একটু ভুল হতেই পারে। তাই বলে গোটা ফোর্সকে ব্যঙ্গ করা উচিত না।"
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি
মমতা বলেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু শুরু হয়ে গিয়েছে। ২ কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারে নাম লিখেছে। তার মধ্য দেড় কোটি মহিলাই হবেন। এবার আমার লক্ষ্য শিল্প। সামাজিক কর্মসূচিতে আমরা এক নম্বর। সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা, স্টুডেন্টদের জন্য ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। দেউচাপাচামিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি তৈরি করছি। এতে যা বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে বাংলায় আর বিদ্যুৎ ঘাটতি হবে না। সেই বিদ্যুৎ শিল্পক্ষেত্রেও দেওয়া সম্ভব। চাকরি-স্কুল-ঘর-হাসপাতাল সব করে দেওয়া হবে। তাজপুর বন্দর কেন্দ্রের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এবার আর করতে হবে না।"
জঙ্গলমহল সুন্দরী
মমতা বলেন, "রঘুনাথপুরে যে শিল্পক্ষেত্র হবে তার নাম জঙ্গলমহলসুন্দরী। সেখানে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। দেউচাপাচামিতে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। ৮,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে আলাদা করে। আমাদের সরকার শিল্পের পাশে রয়েছে। পেট্রোল, ডিজেলের সঙ্গে ইথানলকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ভাঙা চাল দিয়ে এটা তৈরি হয়। আমরা ভাঙা চাল চাষীদের কাছ থেকে কিনে নেবো। দুয়ারের সরকারে রেশন আমরা চাষীদের কাছ থেকে নিচ্ছি। ইথানলকে ঘিরে গ্রামে অনেক কারখানা গড়ে উঠবে। দেড় হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। ৪৮ হাজারের মানুষ কাজ পাবেন।"
ডেটা সেন্টার ইন্ড্রাস্ট্রি
মমতা, "দেশের আইটি সেন্টারের সেরা গন্তব্য বাংলা। রাজ্যে ডেটা সেন্টার ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে তোলা হবে। ডেন্টা হাব হিসাবে গড়ে তুলব। যাতে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর চাহিদা মেটাতে পারবে। ৪০০ মেগাওয়াটের ডেটা সেন্টার আগামী ৫ বছরের মধ্যে তৈরি হবে। ১০ বছরে ১ লাখ কোটি টাকার রাজ্যের বিনিয়োগ হয়েছে। অন্ডালকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির চেষ্টা চলছে। রাজ্য়ে ৩০টা হেলিকপ্টার সেন্টার তৈরি হয়েছে। উৎকর্ষ বাংলায় প্রায় ৬ লাখ ছেলে মেয়েকে তৈরি করা হচ্ছে কর্মসংস্থানের জন্য। অশোকনগরে তেলের খনির হদিশ মিলিছে। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে ৫ লাখ ছেলেমেয়ে কাজ পাবে। অনেকে পেয়েও গিয়েছেন। আমরা ৩৬ শতাংশ দারিদ্রতা কমিয়ে দিয়েছি। আমরা যা কথা দিয়েছিলাম সেটা রেখেছি। কেউ তো বলেছি কালো ধন নিয়ে আসবে। কিন্তু সেটা আসেনি। আমরা যেটা বলি, সেটা করি। বাংলায় ৪ কোটির মতো টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। আরও ১৪ কোটির প্রয়োজন।"