রেকর্ড বৃষ্টিতে প্লাবিত হুগলির খানাকুল। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। এমন অবস্থায় বুধবার খানাকুল পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরেই খানাকুল যাবেন তিনি। গোটা এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। শেষ কয়েকদিন ধরেই খানাকুলের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। বন্যার জলে কার্যত দিশেহারা সাধারণ মানুষ। উদ্ধারকার্যে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ-কেও। হেলিকপ্টার করে দুর্গতদের নিয়ে আসা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার খানাকুলের বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ বিলি করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষরা খানাকুল ২ বিডিও অফিসের সামনে খানাকুল বর্তমান বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষকে ঘিরে ও স্থানীয়রা জোরদার বিক্ষোভ করে। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ অভিযোগ করেন, তৃণমূল তরফ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলা হচ্ছে। উনারা বিধানসভায় যাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন তার কাছে ত্রাণ নিতে যান। বিধায়ক বলেন, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় ত্রাণ বিলি করার ক্ষমতা শুধু পঞ্চায়েতের অধীনে থাকে।
খানাকুলের পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছেন রাজ্যের সেচ দফতরের কর্তারা। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য। বিপদগ্রস্থ বাসিন্দাদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসার কাজ চলছে। তবে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। প্রচু মানুষের বাড়ি এখন জলের তলায়। উদ্ধারে নামানো হয়েছে হেলিকপ্টার। এই বন্যার জেরে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় আজ মুখ্যমন্ত্রী দুপুরে খানাকুলে যাবেন। সেখানে গিয়ে কথা বললেন বন্যা দুর্গতের সঙ্গে। খানাকুলের পাশাপাশি হাওড়ার উদয়নারায়ণ, আমতার মতো প্লাবিত এলাকাগুলিও পরিদর্শন করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সবথেকে খারাপ অবস্থা খানাকুল ব্লক ২ নম্বর এলাকায়। সেখানে অধিকাংশ গ্রামই জলে ডুবে গিয়েছে। ফলে প্রবল বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জলবন্দি অবস্থায় নতুন করে পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে ওই এলাকাতেও।