ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল... লাগলো যে দোল-- রবীন্দ্রনাথের কবিতা দিয়েই ভাষণ শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রবীন্দ্রনাথের দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের একবার পোস্টিং হয়েছিল আহমেদাবাদে। আহমেদাবাদে থাকাকালীন দুটি বাংলা কবিতা রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ক্ষদিত পাষাণের একটি অংশ রবীন্দ্রনাথ গুজরাতে বসে লিখেছিলেন।
মোদী বললেন, শিক্ষার এই মন্দিরে আদর্শ মানুষ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জ্ঞানের আন্দোলনে উত্সাহ দিয়েছে বিশ্বভারতী।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, ভারত মাতা ও বিশ্বের মেলবন্ধনেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গড়েছিলেন এই বিশ্বভারতী। ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন চেহারা দিয়েছে বিশ্বভারতী।
গ্রাম, কৃষি, বাণিজ্যকে আত্মনির্ভর দেখতে চেয়েছিলেন গুরুদেব। আত্মনির্ভর ভারতের সূচনা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরেই। বললেন মোদী।
গৌরব দাও-- বিশ্বভারতীর শতবর্ষে এটাই আমাদের প্রার্থনা। দেশের কাছে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ গৌরবের বিষয়। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নবভারতের নির্মাণে বিশ্বভারতী কাজ করে। প্রকৃতির সঙ্গে মিলে অধ্যয়ন ও জীবনচর্চার পীঠস্থান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বললেন মোদী
ভক্তি আন্দোলন আমাদের একতা দিয়েছে, জ্ঞান আন্দোলন আমাদের চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছে এবং কর্ম আন্দোলন আমাদের কাজ করতে শিখিয়ে। গুরুদেব যে ভাবে ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে বিশ্বভারতীকে যে স্বরূপ দেন, তাতে রাষ্ট্রবাদের উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। বললেন মোদী।
কালীভক্ত রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্যই ভারত স্বামী বিবেকানন্দের মতো মহান আত্মা পেয়েছে ভারত। রামকৃষ্ণের ভক্তিবাদ ভুললে চলবে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিদ্যাপতি, শ্রীচৈতন্য, সুরদাস সহ মহান ব্যক্তিরা সমাজকে শুধরে, প্রগতির মাপ্গ দর্শন করিয়েছেন। বললেন মোদী।
এই বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বিশ্বভারতীর ভাবনা ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। এই আন্দোলনের বীজ বহু আগে পত্তন করা হয়েছিল।
বিশ্বভারতীকে আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে যাঁদের অবদান প্রতি দিন, তাঁদের আমি প্রণাম জানাচ্ছি। শান্তিনিকেতন স্থাপনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রামের উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন।
হে বিধাতা,. দাও দাও মোদের গৌরব দাও-- রবি ঠাকুরের কবিতায় বিশ্বভারতীর শতবর্ষে ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
In a short while from now, at 11 AM, PM @narendramodi will speak at the iconic #VisvaBharati University, Santiniketan, West Bengal. pic.twitter.com/BeJ1fowlhX
— PMO India (@PMOIndia) December 24, 2020
ঠিক ১১টায় বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেখতে ক্লিক করুন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বভারতী পৌঁছলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিছুক্ষণ পরেই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ভাষণ দেবেন মোদী।
প্রোটোকল মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে এখনও কোনও উত্তর মেলেনি।
বিশ্বভারতীর শতবর্ষে রবীন্দ্রনাথের কবিতার অংশই ট্যুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
"বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারো"
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 24, 2020
Visva Bharati University turns 100. This temple of learning was Rabindranath Tagore’s greatest experiment on creating the ideal human being. We must preserve the vision and philosophy of this great visionary
ভারতের প্রাচীন আশ্রম শিক্ষার ভাবনায় বিশ্বভারতী গড়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গাছের তলায়, প্রকৃতির সঙ্গে শিক্ষা। শান্তিনিকেতনের অর্থই হল, যে শান্তির ঘর। এখনও শান্তিনিকেতনে গাছের তলায় শিক্ষার রীতি রয়েছে। আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন।
লকডাউন পর্বে মোদীর সাদা দাড়ি দেখে অনেকেই বলেছেন, তাঁকে নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো দেখাচ্ছে।