scorecardresearch
 

UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেতে পারে বিশ্বভারতী, ইঙ্গিত দিলেন উপাচার্য

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (World Heritage Site) হিসাবে তকমা পেতে পারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কথায় এমনই ইঙ্গিত মিলল। সম্প্রতি বিশ্বভারতীতে ইউনেস্কোর (UNESCO) একটি প্রতিনিধি দল ঘুরে গিয়েছে। এই দলের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) হিসাবে ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেতে পারে বিশ্বভারতী
  • ইঙ্গিত দিলেন উপাচার্য
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (World Heritage Site) হিসাবে তকমা পেতে পারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কথায় এমনই ইঙ্গিত মিলল। সম্প্রতি বিশ্বভারতীতে ইউনেস্কোর (UNESCO) একটি প্রতিনিধি দল ঘুরে গিয়েছে। এই দলের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) হিসাবে ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে আরও উসকে দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়ে দিলেন বিশ্বে প্রথম  ইউনেস্কোর হেরিটেজ কমিশন কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিশ্বভারতী) হেরিটেজ করার কথা ভাবছে। এদিকে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষনের নজরদারিতে বিশ্বভারতীতে চলছে সংস্কারের কাজ। 

ইউনেস্কোর দল বিশ্বভারতীতে

গত ২০২১ সালের ১০ই অক্টোবর ইউনেস্কোর ৬ সদসস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতী ঘুরে দেখেন। পরে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার জানিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চাইছেন বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ ঘোষনা করা হোক। সরকার এর জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এবার বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ ঘোষনার ব্যাপারে আশার কথা শোনালেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

বুধবার শান্তিনিকেতনে প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "এই অতিমারির মধ্যেও বিশ্বভারতী থেমে থাকেনি। বিশ্বভারতীতে দুটি জিনিস হচ্ছে, যা নিয়ে আমরা গর্বিত। প্রথমটি বিশ্বভারতীর একটি ক্যাম্পাস হচ্ছে উত্তরাখন্ডের রামগরে। দ্বিতীয়, বিশ্বের মধ্যে প্রথম  ইউনেস্কোর হেরিটেজ কমিশন কোন একটি লিভিং ইউনিভার্সিটিকে(বিশ্বভারতী) হেরিটেজ করার কথা ভাবছে। এটা একটা বিরাট পাওয়া। উপাচার্য বলেন, আশ্রমের মধ্যে পুরনো বাড়ি গুলি সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু এই বাড়ি গুলি কতদিন থাকবে জানিনা। কারন আশ্রমের পাশের রাস্তা দিয়ে ভারি গাড়ি চলাচলের ফলে যে কম্পন হচ্ছে, তাতে খারাপ হয়ে যাবে। আপরা জানেন কি ভাবে রাস্তা নিয়ে নেওয়া হল। এখানে এক দল চাইছে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য রক্ষা করতে। আর এক দল চাইছে এই ঐতিহ্য কিভাবে রক্ষা না করা যায়।"

Advertisement

সংস্কার প্রয়োজন একাধিক ভবনের
 

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, আশ্রম প্রাঙ্গনে উপাসনা গৃহ, শান্তিনিকেতন গৃহ ছাড়াও উত্তরায়নে কবির স্মৃতি বিজড়িত উদয়ন বাড়ি, পুনশ্চ, উদীচি, কোনার্ক, শ্যামলীর মতো ঐতিহ্য গৃহগুলির বয়স অনুপাতে নিয়মিত সংস্কার প্রয়োজন। কবির অত্যন্ত প্রিয় শতবর্ষ প্রাচীন উত্তরায়নের প্রথম বাড়ি 'কোনার্ক'  আজ রুগ্ন। ছাদে জল জমে স্যাঁতসেঁতে ভাব। ড্যাম্প ধরে গিয়েছে। আশ্রমিকদের কথায়, ১৯১৯ সালে এই বাড়িটি আশ্রম সীমানার বাইরে প্রথম তৈরি করান রবীন্দ্রনাথ। ওই বছরই নভেম্বর মাসে উত্তর-পশ্চিম দিকে 'উত্তরায়ন' নাম দিয়ে মাটির বাড়িতে কবি বসবাস শুরু করেন। পরে বাড়িটি পাকা করে তোলা হয়। কবি তার নাম দেন 'কোনার্ক'। একই অবস্থা আরও একটি ঐতিহ্য গৃহ 'উদয়ন'-এর। 

কয়েকটি জায়গায় চলছে সংস্কার

শান্তিনিকতেনের উত্তরায়ন প্রাঙ্গনের 'উদয়ন' বাড়ি রবীন্দ্রনাথের বাসভবনগুলির মধ্যে সর্বাধিক কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ও শিল্পী-স্থপতি সুরেন্দ্রনাথ করের পরিকল্পনা ও নৈপুণ্যে তৈরি এই বাড়ির দোতলার ঘরই পৃথিবীর রবীন্দ্রপ্রেমী মানুষের কাছে 'কবিকক্ষ' বলে সমাদৃত। গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত সরকারে পুরাতত্ত্ব বিভাগের (এএসআই) দায়িত্বে সংস্কার শেষ হয়েছে 'শ্যামলী' বাড়ি। রবীন্দ্র ভবনের তত্ত্বাবধানে থাকা শান্তিনিকেতেনের ঐতিহ্যবাহী একের পর এক বাড়ির এই দশা বিশ্বভারতী ও রবীন্দ্রভবনের উদ্বেগকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। কারণ এই বাড়িগুলির সিংহ ভাগই সেই সময় খুব সাধারণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছিল। ফলে তার আয়ুও শেষের দিকে। সংস্কারের কাজ চলছে উপাসনা মন্দিরের।

Advertisement