scorecardresearch
 

Elephant Attack Dooars: শাবকের মৃত্যু, শোকাহত মা হাতির তাণ্ডব ডুয়ার্সে, হামলার মুখে বন দফতরও

Elephant Attack Dooars: শনিবার সকালে ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের কারবালা চা-বাগানে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রেতির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা একটি হাতির দলের এক শাবকের মৃত্যু হয় চা-বাগানের নালায় পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড।

Advertisement
শাবকের মৃত্যু, শোকাহত মা হাতির তাণ্ডব ডুয়ার্সে, হামলার মুখে বন দফতরও।    ফাইল ছবি শাবকের মৃত্যু, শোকাহত মা হাতির তাণ্ডব ডুয়ার্সে, হামলার মুখে বন দফতরও। ফাইল ছবি

Elephant Attack Dooars: চা-বাগানের নালায় পড়ে এক হস্তিশাবকের মৃত্যু হল ডুয়ার্সের বানারহাটে। এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। কিন্তু এদিন যে ঘটনা ঘটল, তা সচরাচর ঘটে না। এরপর মা হাতির তাণ্ডবে দিশেহারা গোটা এলাকার। হাতির আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি বন দফতরের গাড়িও। কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন চালক।

বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার হিমাদ্রি দেবনাথ বলেন, ‘কি কারণে বাচ্চাটি মারা গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মা হাতিটি বর্তমানে দারুণ ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে। আমরা এলাকাটিকে কর্ডন করে রেখেছি। শাবকটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে কাজে যাওয়ার সময় কারবালার ১২৪ নম্বর সেকশনের নালায় একটি হস্তি শাবককে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বাগানের শ্রমিকরা। তাঁরা লক্ষ্য করেন ঘটনাস্থলে দেহ আগলে দাঁড়িয়ে রয়েছে মা হাতিটি। চা শ্রমিকদের দেখতে পেয়েই গর্জন করতে শুরু করে মা হাতি। ওই দৃশ্য দেখতে পেয়েই শ্রমিকরা সেখান থেকে সরে যান। বাগান কর্তৃপক্ষ ওই সেকশনে এদিন কাজ বন্ধ করে দেন। খবর দেওয়া হয় বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি রেঞ্জে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনকর্মীরা।

শনিবার সকালে ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের কারবালা চা-বাগানে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রেতির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা একটি হাতির দলের এক শাবকের মৃত্যু হয় চা-বাগানের নালায় পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড। তারা শাবক হাতিটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। সেই সময়েই এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে মা হাতিটি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মা হাতিটি বন দফতরের গাড়িতেও হামলা চালিয়েছে। কোনওক্রমে গাড়ি থেকে নেমে প্রাণে বেঁচেছেন চালক। ঘটনাস্থলে নজরদারি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা।

এদিকে মৃত সন্তানের আশপাশে কাউকেই ঘেষতে দিচ্ছে না হাতিটি। কিরণ যোগী নামে কারবালার এক কর্মচারী জানান, হাতিটি এতটাই ক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছে, কাউকে সামনে যেতে দিচ্ছে না। দারুণ আতঙ্কে রয়েছি আমরা।

Advertisement

 

Advertisement