scorecardresearch
 

Bagdogra Airport: বেনারস থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের সূচনা মোদীর, উঠল 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিও

অবশেষে বহু প্রতিক্ষার অবসান,শুরু হয়ে গেল বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ। রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেনারস থেকে তিনি ভার্চুয়ালি কাজের সূচনা করেছেন। এই উপলক্ষ্যে এদিন কাওয়াখালির মাঠে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

Advertisement
 বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী

অবশেষে বহু প্রতিক্ষার অবসান,শুরু হয়ে গেল বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ। রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরের  সম্প্রসারণের কাজের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেনারস থেকে তিনি ভার্চুয়ালি কাজের সূচনা করেছেন। এই উপলক্ষ্যে এদিন কাওয়াখালির মাঠে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শান্তনু ঠাকুর, রাজু বিস্ট, জয়ন্ত রায়, শংকর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন, শিখা চট্টোপাধ্যায়, দুর্গা মুর্মু, নিরজ জিম্বা, গৌতম দেব সহ আরও অনেকে।  এদিন রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।  গৌতম দেবকে খাদা পড়িয়ে স্বাগত জানানোর সময়ই জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে দর্শকাসন থেকে।

প্রসঙ্গত,উত্তর পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার বলা হয় শিলিগুড়ি শহরকে। ফলে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরের ওপর নির্ভরশীল উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। শুধু অর্থনীতিই নয় উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পেরও একটা বড় অংশ নির্ভর করে বাগডোগরা বিমানবন্দরের ওপর। ফলে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মানের করার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। অবশেষে উত্তরবঙ্গের মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণের পথে। সমস্ত জট কাটিয়ে রবিবার উত্তরপ্রদেশে বারাণসী থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাগডোগরা বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরির কাজের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

জানাগিয়েছে নতুন টার্মিনালটি তৈরি হবে  ৭০ হাজার ৪০০ স্কয়ার ফিটের জায়গা নিয়ে। সেখানে থাকবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাবতীয় সুবিধে।এই বিমানবন্দরের কাজ সম্পন্ন হলে উপকৃত হবে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে আরও গতি আসবে বলে মনে করছে সরকার।

আরও পড়ুন

এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন,এই নতুন টার্মিনালটি তৈরি হওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গ,বিশেষ করে দার্জিলিং, তরাই ও ডুয়ার্সের বাসিন্দারা লাভবান হবেন। ট্রাভেল ও ট্যুরিজমের পাশাপাশি ব্যবসার ক্ষেত্রেও লাভ হবে বলে আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে মেয়ের গৌতম দেব জানান,কেন্দ্রীয় সরকারের ও রাজ্য সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় এই নতুন টার্মিনালটি তৈরি হতে চলেছে। ফলে যোগাযোগ মাধ্যম আরও সুদৃঢ় হবে। অপর দিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন,এটি আমাদের একটি বড় সাফল্য হতে চলেছে। এবার উত্তরবঙ্গের থেকে উত্তরপূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও দৃঢ় হল।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন পাঠনো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেও। তবে তিনি অনুষ্ঠানে ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগনের মেয়র গৌতম দেব। তাঁকে মঞ্চে দেখেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলা হয় দর্শকাসন থেকে। এর প্রেক্ষিতে পরে গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমি পাল্টা জয় বাংলা বলতে পারতাম। কিন্তু এর আগেও দেখেছি, নিতিন গডকড়ীর অনুষ্ঠান যখন শিলিগুড়িতে হয়েছিল, তখনও রাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে আমাকে পাঠানো হয়েছিল। তখনও একই ঘটনা ঘটেছিল। এটা রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিষয়। একটা সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের স্লোগান বাঞ্ছনীয় নয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ছিলাম। বক্তৃতা করার সুযোগ দিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে রাত্রিকালীন অবতরণ-সহ একাধিক সুযোগ রাজ্যের থেকে করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো বলেছি।’’ এদিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।

Advertisement