New Regulation For Jungle Safari In North Bnegal: উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে গেলে এখন থেকে মানতে হবে একগুচ্ছ নিয়ম। নতুবা জঙ্গল সাফারি করার ইচ্ছে রীতিমতো জলাঞ্জলি দিতে হবে। যেমন ইচ্ছেমতো পারফিউম মেখে আর জঙ্গল সাফারি করা যাবে না। গরমের ছুটিতে তাই আগে থেকে জেনে নিয়ে তারপর যাওয়াই ভাল। সম্ভব হলে সাফারি করার দিন পারফিউম না মাখাই ভাল। শুধু তাই নয়, এছাড়াও একগুচ্ছ নিয়ম আনা হচ্ছে সাফারি করার জন্য।
সম্প্রতি একটি গণ্ডার আচমকা একটি সাফারিরত গাড়ির দিকে ছুটে গিয়েছিল। পালাতে গিয়ে গাড়ি রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। যদিও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটতে পারত। এই ধরণের ঘটনা এড়াতে বন দফতর বিশেষ বন্দোবস্ত নিচ্ছে। বন দফতরের তরফে কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়িগুলির ফিটনেসও খতিয়ে দেখছে বন দফতর। ফিটনেস ফেল করলে গাড়ি চালাতে দেওয়া হবে না। যারা পাশ করবে, সেই সব গাড়িগুলিই চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে।পাশাপাশি, আরও কিছু বিধিনিষেধ আনছে দফতর। যেমন, কড়া সুগন্ধি মেখে কোনও পর্যটক জঙ্গল সাফারিতে এলে, তাঁকে গাড়িতে তোলা যাবে না। জলদাপাড়ার জঙ্গলে সম্প্রতি একটি গন্ডার সাফারি গাড়ির দিকে তেড়ে গিয়েছিল। সে অবস্থায় চালক গাড়ি নিয়ে পালাতে গেলে, গাড়িটি পাশের নয়নজুলিতে পড়ে যায়। জলদাপাড়ার সে ঘটনার পরে, তাই এমনই একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করল জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগ। গরুমারা, চাপড়ামারি এবং মূর্তিতে ‘সাফারি’র ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ বলবৎ হচ্ছে।
মূল নজর দেওয়া হচ্ছে গাড়ির দিকে। গাড়িগুলির অনেকগুলিই বেশ পুরনো। হয়ে গিয়েছে। সেগুলিকে বদলে ফেলতেও বলেছে দফতর। সে সব গাড়ি থেকে কতটা দূষণ ছড়াচ্ছে তা নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে। পুরনো এ সব গাড়ি কতটা সফরের পক্ষে উপযুক্ত অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জঙ্গল-পথে সফরে গেলে বন্যপ্রাণী তাড়া করতে পারে, এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। সে ক্ষেত্রে গাড়িটির গতি হঠাৎ বাড়ানো বা কমানো সম্ভব কি না, গাড়ির ইঞ্জিন মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যা কিনা এগুলি নিয়েও দুশ্চিন্তার কারণ বলে দাবি।
কী কী বিধিনিষেধ জারি করা হতে চলেছে?
১. সাফারি গাড়ির মালিকদের হাতে বিধিনিষেধের যে জঙ্গলের ভিতরের পথে কোনও কড়া সুগন্ধি মাখা পর্যটককে নিয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ, সুগন্ধিতে বন্যপ্রাণী আকৃষ্ট হতে পারে।
২. এখন থেকে আর আশপাশে বন্যপ্রাণী দেখে গাড়ির গতি কমানো চলবে না, ছবি তুলতে কাউকে গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া যাবে না। জঙ্গলে কোথাও গাড়ি থামাতেও বারণ করা হয়েছে।
গরুমারা, চাপরামারি এবং মূর্তি মিলিয়ে ৭৫টি গাড়ি সাফারিতে নিয়ে যায় পর্যটকদের। সাফারি গাড়ির মালিক সংগঠনের সম্পাদক সমীর দেব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সব গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়মিত জমা দেওয়া হয়। কিছু গাড়ি পুরনো রয়েছে। সেগুলি বদলে ফেলা নিয়ে বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ছাড়া, যা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে সবই মেনে চলা হবে।