North Bengal Union Territory Anant Maharaj: নেপালে রাজবংশি সম্প্রদায়ের অনুরোধে সিরুয়া উৎসবে যোগ দিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নেপালে গেলেন জিসিপিএ সুপ্রিমো অনন্ত মহারাজ। এদিন নেপাল প্রবেশের পথে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান , দুই দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের উৎসব এটি। পাশাপাশি ফের উত্তরবঙ্গকে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা সময়ের অপেক্ষা বলে জানিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুনঃ আতিক এবং আশরফকে গুলি করে হত্যা, প্রয়াগরাজে পুলিশের গাড়িতে হামলা
অনন্ত মহারাজ বলেন, আলাদা রাজ্য নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এটাতো ফাইনাল হয়ে গিয়েছে। আলাদা রাজ্য হচ্ছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবেই। এতে কোনও দ্বিমত নেই। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে তেমন উন্নয়ন হয়নি। পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলে অভূতপূর্ব উন্নতি হবে বলে দাবি করেন তিনি। এর আগেও তিনি বারবার দাবি করে এসেছেন খুব দ্রুত কেন্দ্র শাসিক অঞ্চল হবে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে। যদিও কোন কোন এলাকা এর অন্তর্ভুক্ত হবে তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। সম্প্রতি একাধিকবার দিল্লিতেও তিনি ঘুরে এসেছেন এই দাবি নিয়ে। দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের সঙ্গে।
কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত এলাকা করার কথা দিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার! এমনটাই দাবি এর আগেই করেছেন, গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের (জিসিপিএ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অনন্তদেব বর্মার তথা অনন্ত মহারাজ। কিছুদিন আগে তিনি দাবি করেন, এখন শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার অপেক্ষা। শুধু ঘোষণাই নয় সেই রাজ্যের ক্ষমতা দেওয়া হবে তাঁদের হাতেই বলে দাবি অনন্ত মহারাজের। যা র পরে এ নিয়ে গোটা উত্তরবঙ্গ তো বটেই, রাজ্য়জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।
কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে?
অনন্ত মহারাজ একাধিক বৈঠকে ও জনসমক্ষে জানান যে, রাজবংশি সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি যে বঞ্চনা হয়েছে তা এখনও ক্ষতিপূরণ হয়নি। তাই সংবিধানের নিয়ম মেনেই কোচবিহারকে ফের আলাদা রাজ্য করার দাবি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, "আমরা হিউম্যান পাওয়ার দেখাই না। তাই বলে আমরা দুর্বল নই।" তিনি কোচবিহারবাসী নিজের অধিকার অর্জনের জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানান। অনন্তদেবের দাবি, খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে বলেছেন, কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হবে। আর সেই অঞ্চলের ক্ষমতা দেওয়া হবে তাঁর হাতেই। এখন সেই অপেক্ষায় রয়েছে কোচবিহারবাসী।