kaliyagunj Political Clash: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে রবিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত শিলিগুড়ি। রবিবার রাতে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকায় একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বিজেপির বুথ সভাপতি নন্দকিশোর ঠাকুর সহ আরও কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অন্যদিকে সোমবার উল্টো চিত্র দেখা গেল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, ‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
একইভাবে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জও। এখানে তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। যদিও বিজেপির নেতারা এই ঘটনাকে পারিবারিক বিবাদ বলে মন্তব্য করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াগঞ্জের শেঠ কলোনির কুলতলা এলাকায়। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম গৌতম বর্মন। তাঁর দাবি, শনিবার রাতে কুলতলা পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যেতেই অভিযুক্ত বিষ্ণু বর্মন গালিগালাজ ও ধস্তাধস্তি করে তাঁর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মোবাইলও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাঁর দাবি, "আমি বাধা দিলে বিষ্ণু পকেট থেকে ছুরি বার করে গলায় আঘাত করার চেষ্টা করে৷ আমি কোনওরকমে হাত দুটি আটকে দিই। আমার বাঁ হাতের আঙুলে চোট লাগে।" চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসতেই বিষ্ণু এলাকা ছেড়ে পালায় বলে দাবি তাঁর।
পরে গৌতমের অভিযোগ করেন, বিষ্ণু বিজেপির সমর্থক। তাই পুরনো রাগের জেরে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বিষ্ণু। ওইদিন রাতে আমার বাড়িতে রাখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ছবিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বিষ্ণু। ওর পেছনে বিজেপির কোনও বড় মাথার হাত আছে।’ এলাকার তৃণমূল নেতারাও তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পাল সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, এটা পারিবারিক বিবাদ নিয়ে অশান্তির ঘটনা। অযথা এই বিষয়ে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।