স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি চলছে। তার মধ্যে এমনিতেও ঝড়-বৃষ্টি সত্ত্বেও সমতলে এখন ভাল রকম গরম। কয়েকদিন আগে তাপমাত্রার পারদ চড়ে গিয়েছিল মাত্রাতিরিক্ত। তাই রিলিফ বলতে পাহাড়। এই মুহূর্তে সবচেয়ে দুটি জনপ্রিয় পাহাড়ের পর্যটনকেন্দ্র দার্জিলিং ও গ্যাংটক কোথাও তেমন জায়গা নেই। ফলে পর্যটকরা একটু বাইরে বিকল্প জায়গা খুঁজে নিচ্ছেন। সেখান থেকেই জনপ্রিয় জায়গাগুলিও ঘুরে নিচ্ছেন। তেমনই একটি জায়গা লামাহাটা।
আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখানকার নজরমিনার থেকেই দেখা মেলে অপরূপা কাঞ্চনজঙ্ঘার। দৈনিক সকাল আটটা থেকে সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। পার্কটি ক্রমশই পর্যটকমহলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ইকোলজির গবেষকরাও প্রকৃতিপাঠের জন্য এখানে ভিড় জমাচ্ছেন বলে পার্কের কর্মী দোরজি সুব্বা জানান।
পাহাড়ে ঘুরতে ঘুরতে ভাল লেগে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তখনই তিনি নির্দেশ দেন, সেখানে পার্ক তৈরি করার। সেই সঙ্গে এলাকাকে ডেভলপ করে তাকে পুরোদস্তুর পর্যটনকেন্দ্রে তৈরি করতে। তারপর থেকেই পর্যটন মানচিত্রে ক্রমশ ডানা মেলছে দার্জিলিংয়ের লামাহাটা। প্রতি বছরই ভিড় বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এবারও অনেকটাই আয় বেড়েছে। পর্যটক যে বেড়েছে তার প্রমাণ লামাহাটা ইকো পার্ক (Lamahatta Eco Park)। মাসে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে শেষ মাসে। ভিড় বাড়ায় লক্ষ্মী লাভ হোমস্টেগুলিতেও।
২০১৩ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় উত্তরবঙ্গে পর্যটনকে তুলে ধরতে এই ইকো পার্কটি তৈরি হয়। উদ্বোধন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই। পার্কে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি রয়েছে ট্রেকিংয়ের সুবিধাও। পাইন ঘেরা পার্কটি মন কাড়ছে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। তাকদা ফরেস্ট রেঞ্জের এই পার্কে ২০ টাকার টিকিট কেটে যতক্ষণ খুশি সময় কাটানো যায়। উত্তরবঙ্গের পর্যটনকেন্দ্রগুলির আকর্ষণ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে বারবার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পর্যটন মরশুমে হোমস্টেগুলিতে মাথাপিছু দৈনিক ভাড়া প্রায় ১৩০০ টাকা। পার্কের জনপ্রিয়তা বাড়ায় স্থানীয় খাবারের দোকানগুলিরও বিক্রি বেড়েছে।