Ramakrishna Mission Silliguri: গত মে মাসের শুরুতেই শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের মারধর ও জমি দখলের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল শিলিগুড়ি। এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে রাজ্য রাজনীতিতেও। তড়িঘড়ি জমির মিউটেশন মিশনের নামে করে দেয় শিলিগুড়ি পুরনিগম। খোদ মেয়র গৌতম দেব গিয়ে নথি তুলে দেন মিশনের সন্ন্যাসীদের হাতে। তা নিয়ে উত্তাপের আঁচ এখনও কমেনি, তার মধ্য়ে শিলিগুড়িতেই মিশনের আরও একটি জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে বলে মেয়রের কাছে অভিযোগ করেছেন মিশনের সন্ন্যাসীরা। তা নিয়ে ফরে হাওয়া গরম হচ্ছে এলাকায়।
প্রায় ১০ একর জমি ওপর অবস্থিত মাটিগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। যার মধ্যে কিছুটা অংশ কেনা, বাকিটা দানের। ১৯৭৬ সালে এই জমিতে ছিল রামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রম। ১৯৯০ থেকে সেখানে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন সন্ন্যাসীরা। পরবর্তীকালে সেখানে বেশ কিছু সরকারি ভবন নির্মাণ হয়। সেই সময়ই বেদখল হয়ে যায় আশ্রমের জমি। অনেকদিন ধরেই আশ্রমের তরফে জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। সম্প্রতি রামকৃষ্ণ মিশনের শিলিগুড়ির জমি নিয়ে রাজ্যের ইতিবাচক ভাবনায় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় মিশনের সন্ন্যাসীরা আশাবাদী হয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এ বিষয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন সন্ন্যাসীরা। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শুক্রবার শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে দেখা করেন স্বামী বিনয়ানন্দ মহারাজ-সহ বেশ কয়েকজন। জমি পুনরুদ্ধারের আর্জি জানান রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ।
জমি দখল হতে দেখে ২০২২ সালে আশ্রম কর্তৃপক্ষ মাটিগাড়ায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে মিউটেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর পরেই আশ্রমের সন্ন্যাসীরা জানতে পারেন, যে ওই জমি অন্যদের নামে আগেই মিউটেশন হয়ে গিয়েছে। পুরোটাই আশ্রমকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার মেয়রের সঙ্গে আলোচনার পরে স্বামী বিনয়ানন্দ বলেন, “আশা করছি, আমাদের জমি উদ্ধার হবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। অনেকে মিলে জমি দখল করে রেখেছে। মেয়রকে আবেদন জানিয়েছি, যাতে জমি ফিরে পাওয়া যায়। তিনি দেখছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”