Sikkim Siliguri Landslide: এমনিতেই ধুঁকে ধুঁকে চলছিল শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাতায়াত। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই নানা নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে ছোট গাড়ি চলছিল। মাঝে গত সপ্তাহে রাস্তা মেরামত করে খুলে দিলেও আবার নতুন করে ধস নেমেছিল। তারপরই ১১ অগাস্টে পর্যন্ত ফের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে ধস নেমেছে ওই রাস্তায়।
ফের বন্ধ হয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বৃহস্পতিবার সকালে বিরিকদাড়ায় রাস্তার বড় একটা অংশ ভেঙে পড়ে ভূমিধসে (Landslide)। ফলে বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল। বিপাকে পড়তে হয় এই পথে চলাচলকারীদের। পুলিশের তরফে সমস্ত গাড়িকে গরুবাথান, লাভা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যেভাবে রাস্তার ভাঙন ধরেছে, তাতে মেরামতি বা নতুনভাবে রাস্তা তৈরি কবে হবে, তা অনিশ্চিত। অর্থাৎ দুর্ভোগ থেকে দ্রুত মুক্তি ঘটার সম্ভাবনা কম। প্রসঙ্গত, কিছু বিধিনিষেধ জারি করে চারদিন আগেই রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (National Highway)। তারপরই আবার এই ঘটনা। বৃষ্টির জেরে এমন বিপত্তি বলে প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্য।
গোটা মরশুমেই সিকিম-দার্জিলিং- কালিম্পং পাহাড় ভুগেছে ধস, অতিবৃষ্টি আর তিস্তার ভ্রুকুটিকে সঙ্গী করে। পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। চলতি মরশুমে বড় ধরণের বিপর্যয় এখনও না ঘটলেও তিস্তার জলস্ফীতি আর ধস বারবার ভুগিয়েছে এলাকাকে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার জাতীয় সড়ক মরশুমের শুরু থেকেই বারবার ধসে বিপর্যস্ত। টানা প্রায় এক মাসের কাছাকাছি বন্ধ থাকার পর সবে কয়েকদিন হল ধস সরিয়ে রাস্তা মেরামত করিয়ে খোলে হয়েছিল, তার দুদিনের মধ্যেই ফের অন্য জায়গায় ধস নেমে ফের বন্ধ হয়ে গেল ওই সড়ক। এদিকে টানা বৃষ্টি চলছেই গোটা রাজ্যে। বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড়েও।
রংপো চেকপোস্ট থেকে মেল্লিবাজার, চিত্রে, রবিঝোরা, তিস্তা বাজার, ২৯ মাইল হয়ে কালিম্পং জেলা সীমানা পর্যন্ত গোটা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কালিম্পংয়ের জেলা শাসক সুব্রহ্মণিয়ান টি জানিয়েছেন, রাস্তা মেরামত না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সমস্ত বড় যানবাহন ঘুরপথে চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।