Malda Rape And Murder: নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পুকুরে ডুবিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল মালদার হবিবপুর এলাকা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন পরিবার-পরিজন গ্রামবাসীরা। খুন করে নাবালিকার দেহ তার বাড়িতে ফেলে যায় ধর্ষক। পরে অবশ্য় অভিযুক্ত থানায় আত্মসমর্পণ করে। হবিবপুর থানার আইসি অক্ষয় পাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।
মালদার হবিবপুরের ইংলিশ মোহনপুরের ঘটনা। অভিযোগে শুক্রবার সকাল থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হবিবপুর থানা এলাকায়। অভিযোগ, অভিভাবকদের অনুপস্থিতির সুযোগে গভীর রাতে ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কাছেই একটি পুকুরের ধারে ধর্ষণ করা হয়। এরপর পুকুরের জলে ডুবিয়ে খুন করে নাবালিকার দেহ তার বাড়িতে ফেলে যায় ধর্ষক। এই ঘটনা চাউর হতেই খুনির ফাঁসির দাবিতে ক্ষুব্ধ মানুষজন বুলবুলচণ্ডিতে মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে এক যুবককে সন্দেহজনকভাবে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা। অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা খবর দেন হবিবপুর থানার আইসিকে। খবর পেয়ে হবিবপুর থানার আইসি অক্ষয় পাল দ্রুত পৌঁছে ওই যুবককে জেরা করতেই সে ভেঙে পড়ে গোটা ঘটনা জানায়। এরপই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। পুলিশ ওই নাবালিকার মৃতদেহও উদ্ধার করে স্থানীয়হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাবা-মা সংসার আইসক্রিম বিক্রি করেন। বাবা-মা তাকে এবং তাঁর নাবালক ভাইকে বাড়িতে রেখে একটি মেলায় গিয়েছিলেন আইসক্রিম বিক্রি করতে। মেয়ের এই ঘটনা শুনে ছুটে আসেন বাড়িতে। নিহত ছাত্রীর বাবা,অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি করেন। তিনি হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।