নিশ্চিন্তে খাওয়াদাওয়া করুন এনজেপি রেলস্টেশনে। কারণ এনজেপিতে খাওয়াদাওয়া নিয়ে বড় শংসাপত্র দিয়েছে খোদ FSSAI. রেল যাত্রীদের দেওয়া খাবারের মান, পরিচ্ছন্নতা এবং পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য ইট রাইট স্টেশনের তকমা পেল শিলিগুড়ির এনজেপি রেলওয়ে স্টেশন। FSSAIবা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডা অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে এই শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।
এতে উচ্ছ্বাস উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই শিরোপা আরও দায়িত্ব বাড়িয়ে দেবে। ভালো কাজের স্বীকৃতি সবসময়ই ভালো লাগে। পাশাপাশি কাটিহার ডিভিশনের মধ্যে এই প্রথম কোনও স্টেশন ইট রাইট স্টেশনের তকমা পেয়েছে। কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম সঞ্জয় চিলাওয়ারওয়ার বিষয়টি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তবে একবার শংসাপত্র পাওয়া মানে এই নয়, আজীবন তা বহাল থাকবে। এই শংসাপত্রের বৈধতা থাকবে ২০২৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার মধ্যে ফের পর্যবেক্ষণ করা হবে। তখন যদি মান খারাপ হয়, তাহলে এই শংসাপত্র কেড়ে নেওয়া হবে। তাই লাগাতার এই মান বজায় রাখতে হবে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে।
এনজেপি রেলস্টেশন উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী স্টেশনে যাতায়াত করেন। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রেলমন্ত্রকের তরফে। বিমানবন্দরের মত টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরি করে স্টেশনটিকে আরও বেশি সুবিধাজনক করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সে কারণে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
তবে কাটিহার ডিভিশনের প্রথম স্টেশন হলেও উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের এর আগেও নিউ বঙ্গাইগাও, গুয়াহাটি, হরিশ্চন্দ্রপুর, লামডিং, রঙ্গিয়া, মরিয়ানি ও সামসি স্টেশন ইট রাইট সার্টিফিকেশন পেয়েছে।