আরও একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সূচনা হল পাহাড়ে। রবিবার দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) জিমখানা ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পথ চলা শুরু করল এই দল। অজয় এডওয়ার্ডের (Ajoy Edwards) নেতৃত্বে নতুন এই দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান গোর্খা জনশক্তি ফ্রন্ট’। নতুন এই পার্টিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা-নেত্রীই যোগ দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে প্রদীপ প্রধান, এনবি খাওয়াস, প্রকাশ গুরুং, মহেন্দ্র ছেত্রী, সারদা রাই সুব্বা এদিন নতুন দলে এসেছেন।
শনিবার রাতে এই বিষয়ে অজয়ের সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। শনিবার সমস্ত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। দার্জিলিংয়ের জিমখানা হলে রবিবার আত্মপ্রকাশ করল নয়া পার্টি। পাহাড়ের গোর্খা ঐক্য ধরে রাখতেই এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নতুন দলে থাকছেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া এনবি খাওয়াশ, জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সভাসদ প্রকাশ গুরুং। কার্শিয়ংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক রোহিত শর্মা, কালিম্পংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রী। এই নিয়ে অজয় এডওয়ার্ড জানিয়েছেন , ‘বিজেপি, তৃণমূল, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, বিজিপিএম, জিএনএলএফের একাধিক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য যোগ দেবেন নতুন দলে।
জিএনএলএফ ছেড়ে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর হামরো পার্টি (Hamro Party) নাম দিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন অজয় এডওয়ার্ড। এমনকি দার্জিলিং পুরসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড দখল করে দলটি। কিন্তু খুব বেশিদিন দার্জিলিং পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি হামরো পার্টি। অনীত থাপার নেতৃত্বে বিজিপিএম গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) ক্ষমতা দখলের পরেই দার্জিলিং পুরসভায় হামরো পার্টির কাউন্সিলারদের ভাঙিয়ে বোর্ড দখল করে। অজয়রা জিটিএ ভোটে বেশ কয়েকটি আসনে জয়ী হলেও বেশিরভাগটাই অনীতদের পক্ষে চলে এসেছে। সেই থেকেই প্রায় এক বছর ধরে অজয় নতুন দল তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। অবশেষে সেই দল যাত্রা শুরু করল আজ।