Raigunj Man Suicide: স্ত্রী পালিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন। শোকে-ক্ষোভে-অপমানে আত্মঘাতী হলেন যুবক। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার একটি গ্রামে। শুক্রবার এলাকার একটি লিচু বাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরা। রায়গঞ্জ মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার বিকেলে ওই তরুণের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রায়গঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতের পরিবারের দাবি অনুযায়ী, অভিযুক্ত মেয়ে সহ তার পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত মা রোসেনা বেওয়া। তাঁর দাবি, তাঁর ছেলের সঙ্গে মেয়ের বাড়ির লোকেরা প্রতারণা করেছে। সেই কারণেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে যুবক। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোনে রামপুর এলাকার ১৬ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভিনরাজ্যের নির্মাণ শ্রমিকের কাজে কর্মরত ওই যুবকের। চলতি মাসের ৯ তারিখে ওই নাবালিকা প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে যুবক। পাঁচদিন মেয়েটি তাঁদের বাড়িতে ছিল। কিন্তু, পাঁচদিন পর নাবালিকার পরিবার ছেলের বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে। এরপর মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। কথা ছিল, শুক্রবার তরুণের সঙ্গে তাঁদের মেয়ের মোহরের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু কথা দিয়েও কথা রাখেনি মেয়ের বাড়ির লোকজন। অন্য এক তরুণের সঙ্গে শুক্রবার মোহর করে নাবালিকার বিয়ে দিয়ে দেন তাঁরা।
এই ঘটনার খবর ওই তরুণের কানে আসতেই বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় তরুণ। বহু খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে একটি লিচু বাগানে তরুণের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় তাঁর পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তরুণকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।মৃতের দাদার অভিযোগ, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে ওই নাবালিকার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয়। ছয় মাস ধরে চলে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক। তিনি আরও জানান, মেয়েকে নিয়ে গিয়ে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেন তাঁরা। সেই খবর পাওয়ার পর থেকেই দুপুরে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয় ভাই। বিকালে সব ভাইয়েরা মিলে বুঝিয়ে খাওয়ার কথা বলেছিলেন যুবক। কিন্তু সে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।