North Bengal Weather: মঙ্গলবার শিলিগুড়ির তাপমাত্রা দেখাচ্ছে ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড যেখানে দার্জিলিং ১৭.৪ এবং গ্যাংটক ১৯.২° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ছিল। জলপাইগুড়িও সোমবার ২৯.৫, এবং কোচবিহার ২৭.৪ ডিগ্রি ছিল। মালদার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৮। মাত্র তিন দিন আগেও যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ৩৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল, সেখান থেকে হঠাৎ এক ধাক্কায় তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০°তে নেমে পড়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। শুধু তাপমাত্রা নামাই নয়, হিমেল হাওয়ায় রীতিমতো কাঁপুনি দিতে শুরু করেছে পাহাড় সমতল সর্বত্রই।
কয়েকদিন আগেই এসি-কুলারের খোঁজ করছিলেন আম-জনতা। দু'দিন পরেই ফের কুলুঙ্গি থেকে কম্বল বের করা যায় কি না, সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কদিন আগে বলা হচ্ছিল যে বিগত বহু বছরের তাপমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবারের গ্রীষ্ম। আবার তিনদিন পরে যে মে মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শেষ কবে এত কম ছিল সেটা নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে সেটাও ভাবতে পারেননি কেউ।
অথচ বৃষ্টি তেমন হয়নি। দুই-এক জায়গায় দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও বেশিরভাগই ছিল শুকনো। তা সত্ত্বেও ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি পারদ পতন চমকে দিয়েছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। সিকিমের আবহাওয়া দফতরের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই পরিস্থিতি আরও দু-তিন দিন থাকবে। তিব্বতের দিক থেকে হিমেল হিমালয়ান হাওয়া এই পারদ পতনের কারণ বলে তিনি জানিয়েছেন। বাতাসের উপরিভাগে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হওয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ফলে বিক্ষিপ্তভাবে হলেও উত্তরবঙ্গের সর্বত্রই বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হবে। সোমবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার অনেক জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি থেকে ৫০-৬০ কিমে বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
জানা গিয়েছে এই সময় ভারতের পশ্চিম দিক থেকে উষ্ণ হাওয়া এই অঞ্চলে প্রবেশ করে আবহাওয়াকে উত্তপ্ত করে তোলে। যার জন্য গত দু-সপ্তাহ উত্তরবঙ্গে সর্বত্রই গরম বেড়েছিল। এর মাঝেই হঠাৎ চিন থেকে শীতল হাওয়া নাথুলার বাধা টপকে উত্তরবঙ্গে হুহু করে ঢুকছে। যার ফলে তত্ত্ব তাওয়ার পরিস্থিতি থেকে শীতল পাহাড়ি আবহাওয়া গিয়েছে উত্তরবঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণ।
টানা কয়েকদিনের দহন জ্বালা থেকে অবশেষে মুক্তি।সকাল থেকেই শিলিগুড়ির আকাশে রোদের মুখ দেখা যায়নি। রবিবার উত্তরে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া আমূল বদলে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার থেকে শুক্রবার রাজ্যের সবকটি জেলাতেই বৃষ্টি হতে পারে। তার মধ্যে সোমবার ও মঙ্গলবার কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ের বেগ বেশি থাকতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।