২০ শতাংশ বোনাসের দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বন ধ ডাকল চা শ্রমিকদের আটটি ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ। সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই বনধ। বোনাস জটিলতার সমাধান না হওয়ায় পাহাড় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্য ইস্যুতে অমিল হলেও, চা শ্রমিকদের দাবিতে এক যোগে বনধে শামিল হচ্ছেন, সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু, অনিত থাপার নেতৃত্বাধীন বিজিপিএমও।
পাহাড়ের ৮৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের এখনও পুজো বোনাসের নিষ্পত্তি হয়নি। ২ সেপ্টেম্বর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তারপর থেকে তিনটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। শ্রমিকরা ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে, মালিকপক্ষ ১৩ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে নারাজ। আগের প্রতিটি বৈঠকই ভেস্তে গিয়েছে। রবিবারও ফের বৈঠক হয়। সেখানেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। ফলে বনধের পথে হাঁটে সংগঠনগুলি।
দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা জানিয়েছেন, চা শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে তাঁর সমর্থন রয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে পাহাড়ে পিকেটিং শুরু হয়ে যাবে। অনিতের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজিপিএম এই বনধ-এর অন্যতম অংশীদার। ফলে সকাল থেকে পাহাড় বনধ সর্বাত্মক হবে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে চারটি বৈঠক হয়েছে। মালিকরা ১৩ শতাংশ বোনাস দিতে চান। তা তাঁরা মানছেন না। পাহাড়ের চা উন্নত। গুণমানের দার্জিলিং টি। তরাই ও ডুয়ার্সের চা যেখানে তুলনায় কম গুণগত মানের, তবু বাগান মালিকেরা ১৬ শতাংশ বোনাস দিচ্ছেন। পাহাড়ে কেন মালিকরা রাজি হবেন না? তাই বাধ্য হয়েই বনধ ডাকা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে যে পর্যটকরা আসবেন, তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে বিষয়টি বনধ সমর্থকরা সুনিশ্চিত করবেন বলে জানান।