scorecardresearch
 

NH 10 Sliguri Sikkim Road Closed: পাহাড়ে ধস, বন্ধ সিকিমগামী জাতীয় সড়ক, বিপাকে পর্যটকরা

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের লিখুভির নামে একটি জায়গায় ছোট বড় পাথর গড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এমনিতেই লিখুভির ধসপ্রবণ এলাকা। পাথর গড়িয়ে পড়ার ফলে যে কোনও সময় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।

Advertisement
পাহাড় থেকে খসে পড়ছে পাথর, শিলিগুড়ি-সিকিম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক আপাতত বন্ধ পাহাড় থেকে খসে পড়ছে পাথর, শিলিগুড়ি-সিকিম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক আপাতত বন্ধ

টানা বৃষ্টি-দুর্যোগ চলছে পাহাড়ে। ফলে পাহাড়ের উপরের অংশ নরম হয়ে উপর থেকে ক্রমাগত গড়িয়ে পড়ছে পাথর। ফলে বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে পরিস্থিতি। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিল প্রশাসন। আপাতত শিলিগুড়ি থেকে সিকিম ও কালিম্পংগামী যানবাহনগুলোকে ঘুরপথে পাঠানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের লিখুভির নামে একটি জায়গায় ছোট বড় পাথর গড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এমনিতেই লিখুভির ধসপ্রবণ এলাকা। পাথর গড়িয়ে পড়ার ফলে যে কোনও সময় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর আগে এমনই গড়িয়ে আসা পাথরে পিষ্ট হয়েছিল গাড়ি। তাই সেই রকম আশঙ্কা থাকায় আগাম সতর্কতামূল ব্যবস্থা নিয়ে বাধ্য হয়ে এই পথ দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিপজ্জনক এলাকায় কালিম্পং পুলিশের তরফে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

কোন রুটে চলছে গাড়ি?

আরও পড়ুন

শিলিগুড়ির সঙ্গে কালিম্পং ও সিকিমের গাড়ি চলাচল করছে ঘুরপথে ডুয়ার্স হয়ে। সেবক-গরুবাথান-লাভা রুটে। ফলে পর্যটকদের যাঁরা এই মুহূর্তে পাহাড় যাচ্ছেন বা ফিরছেন, তাঁদের বাড়তি সময় নষ্ট করতে হচ্ছে। অনেকেই যানজটের ভয়ে সফর কাটছাঁট করে আগেই ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যদিকে, কালিম্পং এবং সিকিম থেকে শিলিগুড়িমুখী যান চলাচল করছে ২৭ মাইল-সামথার রুটে।

 

উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সমতলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার ১৯ মার্চ থেকে, ২৩ মার্চ পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যেই এ দিনের ধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যান চলাচল।  লিকুভির ধসপ্রবণ এলাকা। বছরে অন্তত ১০-১২ বার ধস নামে। এ বারেও বৃষ্টিতে এই এলাকায় ধস নামায় চিন্তায় প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পূর্ত দফতরের পদস্থ কর্তারা। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। শুক্রবার অফিস হয়ে গেলেই শনি, রবি, সোম এবং মঙ্গল, চারদিন দোলের ছুটি। সেই ছুটিতে পাহাড়ে পাড়ি দেবেন ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি। সেই সময়ে এই ধস নামায় চিন্তায় পর্যটকরা। তবে প্রশাসনের আশা, দোলের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Advertisement
 
 

Advertisement