পুজোর আগেই সমস্ত আনন্দ মাটি হয়ে গেল জলপাইগুড়ির রায় পরিবারের। একই সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মা এবং ছেলের। ফলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে। প্রথমে মা ভেজা টিনের দরজায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আচমকা মাকে এভাবে দেখে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ছেলেও। দু'জনেই ঘটনাস্থলে মারা যান। পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আদরপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত মায়ের নাম ননীবালা রায় (৫৫) এবং ছেলে টিংকু রায় (৩২)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, পুলিশ এবং বিদ্যুত দফতরের কর্মীরা। টিংকুদের পাকা বাড়ি হলেও তার গা ঘেঁষে রয়েছে একটি টিনের ঘর। সেখানেই থাকতেন মা ননীবালা এবং টিংকুর মেয়ে। এদিন সকালে নিজের ঘর থেকে বের হতে গিয়ে টিনের দরজায় হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ননীবালা।
তাঁর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন টিংকু। মাকে পড়ে থাকতে দেখে কিছু না বুঝেই বাঁচাতে যান তিনি। সেই সময় মায়ের সঙ্গে টিংকুও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরপর দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। জলপাইগুড়িও তার ব্যতিক্রম নয়। গতকাল রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টি জলপাইগুড়িতে। রবিবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মা এবং ছেলের। ঘটনায় শোকের ছায়া জলপাইগুড়ি শহরের আদরপাড়া দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকায়।
জানা যায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয় মার-ও। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। শর্ট সার্কিট থেকেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ধারণা।