মালদার হোটেলে আগেই বাংলাদেশি নাগিকদের জন্য 'নো এন্ট্রি' হয়েছে। এবার সেই একইপথে হাঁটল উত্তরবঙ্গের আরেক বড় শহর শিলিগুড়ি। মালদার পর এবার শিলিগুড়ি শহরে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্যে বন্ধ হল হোটেলের দরজা। গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যরা। ভারতকে অসম্মান করায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তাঁরা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপিড়নের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে বহাল থাকবেন হোটেল মালিকরা।
টি টিম্বার আর ট্যুরিজমের শহর শিলিগুড়িতে প্রতি বছরই হাজার হাজার বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রবেশ করে। ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি চিকিৎসা বা বিভিন্ন কাজের সূত্রে শিলিগুড়িতে আসেন প্রচুর বাংলাদেশিরা। গতবছর প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০০ ও বছরে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকরা শিলিগুড়ির বিভিন্ন হোটেলে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্যে এবার ভারতের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকদেরকেও।
একদিকে বাংলাদেশে এখন 'আক্রান্ত' হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। অপরদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকেও। এমনকি ভারতীয় পতাকাকেও অবমাননা করা হয়েছে। যেই কারণে ক্ষুব্ধ গোটা ভারতব। এই বিষয়ে গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ জানান, ভোটের মাধ্যমে অ্যাসোসিয়েশনের এক্সিকিউটিভ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাংলাদেশি কোনও নাগরিকদের শিলিগুড়ির কোনও হোটেলে স্থান দেওয়া হবে না। ৯৭% হোটেল ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছেন।
সংবাদদাতাঃ জয়দীপ বাগ