Kalimpong Landslide: মঙ্গলবারও খুলল না শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যানবাহন চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও বাড়াল প্রশাসন। সেতিঝোরা থেকে রংপো পর্যন্ত জাতীয় সড়কে সন্ধ্যা ছ’টা থেকে পরদিন ভোর ছ’টা পর্যন্ত সমস্ত ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ছোট যানবাহনের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা ১১ অগাস্ট পর্যন্ত জারি থাকছে।
গোটা মরশুমেই সিকিম-দার্জিলিং- কালিম্পং পাহাড় ভুগেছে ধস, অতিবৃষ্টি আর তিস্তার ভ্রুকুটিকে সঙ্গী করে। পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। চলতি মরশুমে বড় ধরণের বিপর্যয় এখনও না ঘটলেও তিস্তার জলস্ফীতি আর ধস বারবার ভুগিয়েছে এলাকাকে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার জাতীয় সড়ক মরশুমের শুরু থেকেই বারবার ধসে বিপর্যস্ত। টানা প্রায় এক মাসের কাছাকাছি বন্ধ থাকার পর সবে কয়েকদিন হল ধস সরিয়ে রাস্তা মেরামত করিয়ে খোলে হয়েছিল, তার দুদিনের মধ্যেই ফের অন্য জায়গায় ধস নেমে ফের বন্ধ হয়ে গেল ওই সড়ক। এদিকে টানা বৃষ্টি চলছেই গোটা রাজ্যে। বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড়েও।
রংপো চেকপোস্ট থেকে মেল্লিবাজার, চিত্রে, রবিঝোরা, তিস্তা বাজার, ২৯ মাইল হয়ে কালিম্পং জেলা সীমানা পর্যন্ত গোটা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কালিম্পংয়ের জেলা শাসক সুব্রহ্মণিয়ান টি জানিয়েছেন, রাস্তা মেরামত না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সমস্ত বড় যানবাহন ঘুরপথে চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলছেন, ‘১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ভূমিকা অপরিসীম। পর্যটনের পাশাপাশি ব্যবসা এবং শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং, সিকিমের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগের মূল পথ। সেজন্য তিস্তা নদী এবং জাতীয় সড়ককে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।’
এর মধ্যে সোমবার ফের নতুন করে ধস নেমেছে কালিম্পংয়ে। পাহাড় থেকে বোল্ডার আছড়ে পড়ল গাড়িতে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের মেল্লিতে। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ এই পথে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে গাড়িটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।