Sikkim Flash Flood: সিকিমে ভয়াবহ বিপর্যয়ে ভুক্তভোগী তিস্তার দুপারের মানুষও। ৪ অক্টোবর সিকিমের লোনক হ্রদ ভেঙে যে তিস্তার হড়পা বান আসে, তাতে ভেসে এসেছিল যাবতীয় জিনিস। মানুষের মৃতদেহ থেকে শুরু করে বাড়ি, ঘর, সেনাবাহিনীর অস্ত্র, সরঞ্জাম সহ যাবতীয় জিনিসপত্র। সেই সঙ্গে ভেসে আসে এক পাল মোষও। যাকে নিয়ে আজকের আমাদের প্রতিবেদন। আর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় পঞ্চান্নটি।
মোষগুলি ভেসে এসে ঠেকে ঠেকে ডুয়ার্সের চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাছে। ভেসে আসার পর কদিন তাদের কোনও খোঁজ ছিল না। ফের দু"চার দিন আগে থেকে তাদের দেখা মিলেছে। শুধু দেখা মেলাই নয়, তাদের দাপটে দিশাহারা এলাকার বাসিন্দারা। বিঘার পর বিঘা জমি চাষের ফসল নষ্ট করে ফেলছে এই মোষের দল। পাশাপাশি কেউ কাছে গেলেই গুঁতিয়ে দিতে এগিয়ে আসছে। মোষগুলি নিয় কি করবেন তা বুঝে পাচ্ছেন না। প্রায় ৫৫টি মোষের সঙ্গে বুঝে ওঠা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। এটা ভালই জানেন মানুষ। তাই তারা এখন প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এ থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য।
জানা গিয়েছে এই মোষগুলি রাজগঞ্জ ব্লকের সরস্বতীপুর এলাকার স্থানীয় কৃষ্ণা ছেত্রীর বাথানের মোষগুলি। শুক্রবার হঠাৎই মোষগুলো চ্যাংমারি এলাকায় ঘোরাঘুরি শুরু করে। প্রায় এলাকার ১০-১২ টি কৃষকের দু''বিঘার উপর জমির ধান নষ্ট করে দেয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মোষের আসল মালিকও। একটি শাবক ও একটি বড় মোষকে বাগে আনতে পারলেও বাকি কাউকেই করায়ত্ত করতে পারেননি তিনি। সেগুলি সব আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় একটি ডোবার জঙ্গলে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল সামাদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন মোষগুলো মানুষ দেখলেই তেড়ে আসছে। তাদের তারা খেয়ে পালাতে গিয়ে কয়েকজন জখম হয়েছে মোষগুলোকে উদ্ধার করার বিষয়ে গ্রামবাসীরা যেমন উদ্বেগে তেমনই দিশাহারা মালিক কৃষ্ণা ছেত্রীও। তিনিও বুঝতে পারছেন না, মোষগুলিকে কীভাবে উদ্ধার করে বাথানে নিয়ে যাবেন।