scorecardresearch
 

Coachbehar Murder Case: কোচবিহারে বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার যুবকের রক্তাক্ত দেহ, দানা বাঁধছে রহস্য

Coachbehar Murder Case: হাসেম পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি অসমে হলেও, তিনি তুফানগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ভাই তাঁর বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ ছিলেন। সকালে খবর এসেছে, ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এমনকী গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তাঁর দাবি।

Advertisement
কোচবিহারে বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার যুবকের রক্তাক্ত দেহ, দানা বাঁধছে রহস্য কোচবিহারে বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার যুবকের রক্তাক্ত দেহ, দানা বাঁধছে রহস্য

Coachbehar Murder Case: কোচবিহারের অসম সীমানায় এক অসমীয়া যুবকের রক্তাক্ত দেহ ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। রবিবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা, চর বালাভূত থেকে ওই যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছডিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ও বিএসএফ আধিকারিকরাও।তুফানগঞ্জের এসডিপিও বৈভব বাঙ্গার সংবাদমাধ্যমকে জানান, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কাশেম আলি (২৯)৷ তিনি অসমের ধুবরির কলাপাকানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। যদিও ওই তরুণ কী কারণে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন, তা নিয়ে নানা রকম তথ্য সামনে আসছে। মৃতের দাদা তুফানগঞ্জ থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার কাশেম অসম থেকে তুফানগঞ্জে দাদা হাসেম আলির শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন। শনিবার দুপুরে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই গ্রামের এক পরিচিত৷ তারপর থেকেই কাশেম নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার৷ এরপর রবিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

হাসেম পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি অসমে হলেও, তিনি তুফানগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ভাই তাঁর বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ ছিলেন। সকালে খবর এসেছে, ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এমনকী গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তাঁর দাবি। হাসেমের দাবি, পরিকল্পনা করে ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এলাকার এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে বছর তিনেক আগে ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল কাশেমের৷ সেই সূত্রেই কিছু ঘটে থাকতে পারে। পুলিশ সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। 

এলাকাটি বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা। ফলে গরু পাচারকারীদের আনাগোণা রয়েছে এলাকায়। কাশেম এমনই কোনও চক্রে জড়িয়ে থাকতে পারে বলে দাবি একাংশ গ্রামবাসীর। বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আফতার আলি ব্যাপারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। যদিও কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা বোঝা যাচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।

Advertisement

 

Advertisement