আম গাছ থেকে ঝুলছে জোড়া মৃতদেহ। তাও আবার একই ওড়নার ফাঁসে জড়ানো দুজনের দেহ। সাতস সকালে এমন ঘটনা দেখে হতভম্ব এলাকার মানুষজন। দুজনেই পরিচিত এবং ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল বলে জানা গিয়েছে। কী এমন হল তাদের এভাবে মৃত্যুবরণ করতে হল তা বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। তবে এই মৃত্যুর পিছনে খুনের অভিযোগ তুলছেন মৃতদের পরিবার।
এই রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরদিনাজপুরের করণদিঘিতে গ্রামে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, গোপালপুরের ফাঁসিয়ারায় ভুট্টাখেতের মধ্যে একটি আম গাছে একই ওড়নায় ঝুলন্ত দুটি দেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় করণদিঘি থানায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই বান্ধবীর নাম গীতাঞ্জলি সিংহ ও যূথিকা সিংহ। দুজনই ডালখোলা শ্রী অগ্রসেন মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁরা কাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। তাঁদের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও দুজনের কোনও হদিশ পাননি। শনিবার তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
গীতাঞ্জলির বাবা কৃষ্ণ সিংহ সংবাদমাধ্যমকে জানান,‘শুক্রবার বোনের সাইকেল আনতে করণদিঘি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। সময় গড়ালেও বাড়ি না ফেরায় ফোন করি। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল। সকালে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর আসে। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই আমার মেয়ের দেহ ও তাঁর বান্ধবীর দেহ একই ওড়নায় ঝুলছে। এটা আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে।‘ যূথিকার দিদি শকুন্তলা জানায়, ব্যাংক থেকে টাকা তোলার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল যূথিকা। তারপর ফেরেনি। বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে।