scorecardresearch
 

নেওড়ার জঙ্গলে ক্যামেরায় ধরা পড়ল পূর্ণাঙ্গ বাঘের ছবি, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা

সমতল থেকে সমতল থেকে এগারো হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান। এই জঙ্গলের বহু এলাকা এখনও দুর্ভেদ্য রয়েছে যেখানে মানুষের পায়ের ছাপ পড়েনি। বহু নাম জানা উদ্ভিদ, পতঙ্গ, রয়েছে এই জঙ্গলে। তবে বাঘের অস্তিত্বের প্রথম প্রমাণ মেলে ২০১৭ সালে।

Advertisement

রাজ্যের উত্তর দিকে নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানে এই মুহূর্তে প্রবল শীত। একেই স্যাঁতসেঁতে তরাই অঞ্চলের জঙ্গল। তার উপর আরও উপর দিকে ভুটানে এখন তীব্র ঠান্ডা। ভুটানের সঙ্গে যুক্ত এই জঙ্গলে এবার পরিষ্কার দেখা মিলল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। আর আবছা কিংবা পায়ের ছাপ নয়, বন দফতরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় দিনের আলোয় ধরা পড়ল পূর্ণাঙ্গ বাঘের ছবি। গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে জঙ্গলে পেতে রাখা ট্র্যাপ ক্যামেরায় ৭ বার ধরা পড়েছে বাঘের ছবি। দিন ও রাত মিলিয়ে ছবিগুলি উঠেছে। আর যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত বন দফতর। তবে ছবিগুলি একটই বাঘের? না একাধিক বাঘ রয়েছে জঙ্গলে, তা জানতে বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হচ্ছে। ডিসেম্বরেও বাঘের ছবি ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানা, গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন।

সমতল থেকে সমতল থেকে এগারো হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান। এই জঙ্গলের বহু এলাকা এখনও দুর্ভেদ্য রয়েছে যেখানে মানুষের পায়ের ছাপ পড়েনি। বহু নাম জানা উদ্ভিদ, পতঙ্গ, রয়েছে এই জঙ্গলে। তবে বাঘের অস্তিত্বের প্রথম প্রমাণ মেলে ২০১৭ সালে। লাভা থেকে সামান্য দূরে পেডংয়ের রাস্তায় নিজের মোবাইল ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি তোলেন আনমোল ছেত্রী নামে এক স্থানীয় যুবক। এরপরই বন দফতর ট্র্যাপ ক্যামেরা বসায়। বনবিভাগের দাবি, এক নয় বেশ কয়েকটি বাঘের আনাগোনা রয়েছে এই জাতীয় উদ্যানে। তারপরই এই জঙ্গলকে প্রোজেক্ট টাইগারে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি ভোরে লাভা থেকে সামান্য দূরে পেডংয়ের রাস্তায় নিজের মোবাইল ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি বন্দি করে বনমহলে চাঞ্চল্য ফেলে দেন আনমোল ছেত্রী নামে এক স্থানীয় যুবক। পাহাড়ি এই জঙ্গলে আরও বাঘের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে দুদিনের মধ্যে চারটি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসায় বনদফতর। তাতে ওই বছর ২৩ জানুয়ারি প্রথম সরকারি খাতায় নজরবন্দি হয় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এর পর ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৫ জানুয়ারি ২০১৮ এবং ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি বাঘ বন্দি হয় ট্র‍্যাপ ক্যামেরায়। মাঝে এক বছর দেখা না দিলেও ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর এবং এই বছর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেও ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা দেয় এই বাঘ।

Advertisement

গত কয়েক বছর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রমাণ মিলিয়ে দেখে বন দফতর এক প্রকার নিশ্চিত ভালো সংখ্যায় বাঘ রয়েছে এই বনে। তাই বাঘ সংরক্ষণে গুরুত্ব বাড়াতে পাহাড়ি এই জঙ্গলকে যাতে প্রজেক্ট টাইগারে যুক্ত করা হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও শুরু হয়েছে। গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বনাধিকারিক দ্বিজপ্রতিম সেন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এক্ষেত্রে যা যা করণীয় করা হচ্ছে। সম্প্রতি জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি দল নেওড়া ভ্যালির জঙ্গলে সমীক্ষা চালায়। তারাও বাঘের অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করেছে।

 

Advertisement