মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি (BJP) শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। এমন জল্পনায় উত্তাল উত্তরবঙ্গ। কোচবিহার থেকে যে জল্পনা পৌঁছে কলকাতাতেও। এমনও খবর রয়েছে যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ১৯ জানুয়ারি মেখলিগঞ্জে জনসভা করবেন। ওই সভাতেই বেশ কিছু জন প্রতিনিধি ও অনুগামীদের নিয়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। ওই সভার দিকে লক্ষ রেখেই পরেশ বিজেপির সঙ্গে নিজেই যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে খবর। যদিও পরেশ নিজে এমন খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
কী বলছেন পরেশ?
এ বিষয়ে পরেশ অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে হলে তিনি আজতক বাংলাকে জানিয়েছেন, "সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন খবর। আমি তৃণমূলেই থাকছি। কোথাও যাচ্ছি না।"
বিজেপির দাবি
আসলে এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়ে প্রায় সিলমোহর দিয়ে দিয়েছেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায়। তিনি সংবাদমধ্যমকে জানিয়েছেন, এই দাবি সত্যি। দধিরামবাবু দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে পরেশ নিজেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু পরেশ অধিকারীর ইমেজ ভাল নয় বলে দাবি করে তিনি পরেশকে দলে না নেওয়ার কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন। তাই ইচ্ছে থাকলেও তাঁর বিজেপিতে ঢোকা হচ্ছে না বলে দাবি উঠেছে।
বেসুরো তৃণমূল কর্মীরা
এমনকী তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও পরেশকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছেন। যুব কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা মণ্ডল ফেসবুকে লিখেছেন, "জেল যাওয়া ঠেকাতে সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ওঠা পচা আলু বঙ্গ বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছে।’তিনি যে পরেশবাবুকে নিয়েই লিখেছেন, সেটাও তিনি স্বীকার করেছেন সংবাদমাধ্যমেক কাছে। মেখলিগঞ্জরেই ব্লক সহ সভাপতি আনারুল মহম্মদও ব্যক্তিগত স্বার্থে দলবদল করা ওঁর বরাবরের অভ্যাস বলে কটাক্ষ করেছেন। দু'একজন পরেশের পাশে দাঁড়ালেও এই ইস্যুতে পরেশের বিরুদ্ধেই বেশিরভাগ দলীয় লোকজনই। এমনিতেই চাকরি ইস্যুতে পরেশ ক্রমশই দলের অন্দরে কোণঠাসা। এই ঘটনার পর অনেকেই প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন, যাঁরা এতদিন চুপ ছিলেন। এখন এই জল কতদূর গড়ায় তা দেখার।