Prakash Chikbraiak: তৃণমূলের তরফে রাজ্য়সভার (Rajyasabha) সাংসদ পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে পুরনোদের সঙ্গে নতুন তিনজনকে আনা হয়েছে। যার মধ্যে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একজন রয়েছেন। এর আগে উত্তরবঙ্গ থেকে কার্শিয়াংয়ের (Kurseong) শান্তা ছেত্রীকে (Shanta Chetri) বাদ দিয়ে তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আলিপুরদুয়ারের প্রকাশ চিকবরাইক (Prakash Chikbraiak)। রাজ্যসভার নতুন মুখ প্রকাশ চিকবরাইক তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতি। আদিবাসী এই নেতা দীর্ঘদিন তৃণমূলে রয়েছেন। তেমন কোনও অভিযোগও নেই। তিনি পঞ্চায়েতের বিদায়ী সদস্যও। উত্তরবঙ্গের চা বলয় ও আদিবাসী মহলে তৃণমূলের শক্তিশালী নেতা হিসেবে পরিচিত।
চা-বাগানের একজন কর্মী থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য। এরপর দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব। অবশেষে রাজ্যসভার দলের মনোনীত প্রার্থী প্রকাশ চিকবড়াইক। সোমবার প্রকাশের প্রার্থী হওয়ার খবর জানাজানি হতেই জেলার শাসক শিবিরে শুভেচ্ছার বন্যা
খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রার্থী হয়ে খুশি প্রকাশবাবুও। রাজ্য রাজনীতিতে তেমন পরিচিত না হলেও এলাকায় জনপ্রিয় এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। অপ্রকাশ চিকবড়াইক খুব কম সময়ে শাসক দলের রাজ্য ও শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা অর্জন করেছেন। হিংসাত্মক রাজনীতির বরাবার বিরোধিতা করেন। মনোনীত হওয়ার পরও তাঁর মুখে দলীয় আনুগত্য ও দায়বদ্ধতার কথা। প্রকাশ চিকবড়াইক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘'সব সময় দলের নির্দেশ মেনে কাজ করেছি। আগামী দিনেও দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাব।’ তিনি জানান, এলাকার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে লড়াই করাই তাঁর মূল লক্ষ্য।
আলিপুরদুয়ারের নিউল্যান্ডস চা-বাগানের শ্রমিক পরিবারের ছেলে প্রকাশ ২০০৪ সালে শিলিগুড়ির সূর্যসেন কলেজ থেকে স্নাতক হন। নিউল্যান্ডস চা বাগানে ক্লার্ক হিসেবে কাজে যোগ দেন। এখনও তিনি চা বাগানের একজন কর্মী। ২০১৮ সালে প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপি সব কটি আসনে জেতে। তখন তাঁকে দলের জেলা সভাপতি করা হয়। এরপর আলিপুরদুয়ার জেলাতে পরে পুরসভা নির্বাচনে শাসক দল সাফল্যের রাস্তায় ফেরে। এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি নেতৃত্ব দেন।
রাজ্যসভায় নির্বাচনের জন্য নিজেদের ৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। পুরনো তিনজনের সঙ্গে নতুন তিনজনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন এবং সুখেন্দুশেখর রায়কে ফের প্রার্থী করছে তৃণমূল, সঙ্গে মহারাষ্ট্রের RTI কর্মী সাকেত গোখলে, তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলার সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইক এবং বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলামকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরনোদের মধ্যে বাদ গেলেন ত্রিপুরার সুস্মিতা দেব, কার্শিয়াংয়ের শান্তা ছেত্রী। এছাড়াও লুইজিনহো ফালেইরো পদত্যাগ করেন।
আগামী ২৪ জুলাই রাজ্যসভার নির্বাচন। রাজ্যসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল ৬ জুলাই। মনোনয়নের শেষ তারিখ: ১৩ জুলাই এবং মনোনয়ন যাচাই করার শেষ তারিখ ১৪ জুলাই। প্রার্থিপদ প্রত্যাহারের শেষ তারিখ: ১৭ জুলাই।
আগামী ২৪ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা ভোট হবে এবং সেদিনই বিকাল ৫ টায় ভোট গণনা হবে।