সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে সরব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পলাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়ার পিছনে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সাহায্য করতে প্রস্তুত।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, "সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে তা দুঃখজনক ঘটনা। রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মান ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, অশালীন আচরণ করা হচ্ছে বাংলায়, তা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী কেন চুপ করে রয়েছেন, সেটাই স বড় প্রশ্ন। এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এরপরই তিনি বলেন, যাদের জন্য অশান্তি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলেও তিনি দাবি করেন।
ঘটনার সূত্রপাত ইডির উপর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হামলার ঘটনায়। সেই থেকে খবরের শিরোনামে ঐ সন্দেশখালি। এরইমধ্যে দিনকয়েক ধরে ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল হাজরা ও উত্তম সর্দার। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর-সহ পোল্ট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেয় গ্রামবাসীরা। সেই ঘটনায় দুই নেতাকে পুলিশ লি দেয় বলে অভিযোগ। উলটে এই ঘটনায় গ্রেফতার হন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। এই সকল ঘটনাকে ঘিরে নিরাপত্তায় সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট। তারপর থেকেই একে অপরের সমালোচনায় সরব শাসক বিরোধীরা।
এদিনও কংগ্রেস থেকে বিজেপি সকল প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়া হয় সন্দেশখালিতে যেতে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বাধা দিলে তিনি রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান। অন্যদিকে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকেও বাধা দেয় পুলিশ। তারাও রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করেন।