Balurghat Super Speciality Hospital: বালুরঘাট বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রক্তারক্তি কাণ্ড। তাও এমন অভিযোগকে ঘিরে, যা প্রকাশ্যে আসতে হইচই শুরু হয়েছে। হাসপাতালের ভিতর বিউটি পার্লার চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে চলছিল বিউটি পার্লার তা জেনে চোখ কপালে উঠেছে সকলের। যদিও এই পার্লার ও অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করাতেই এক ওয়ার্ডের মহিলা কর্মীর গলায় ছুরি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তারপরই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। ওই কর্মী এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন। ব্লেড চালানোর ঘটনায়, এক মহিলাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অভিযোগ, বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিতরেই চলছে বিউটি পার্লারের কাজ। বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভেতরে সংস্থা অধিকৃত কর্মীদের মারধর ও রক্তাক্ত কাণ্ডের পর একটি ভিডিও-ও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ড্রেস পরা কর্মরত এক মহিলাকর্মী আর এক মহিলার ভ্রু তুলে দিচ্ছেন। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালের পোশাক পরে হাসপাতালের ভিতরে কীভাবে ওই কর্মকাণ্ড চালানো যায়? সুপার কী করছিলেন? তিনি বাধা দিয়েছেন কি? কাউকে রিপোর্ট করেছিলেন কি না, তাও জানা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের ভিতরে এভাবেই ঘর দখল করে সেখানে অসামাজিক ও যৌনকর্মের অভিযোগ উঠছে। কর্মীদের দুই গোষ্ঠী এ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে। এক গোষ্ঠীর দাবি, অপর গোষ্ঠীর দিকে। উঠে আসছে এক তৃণমূলের এক শ্রমিক নেতার নামও।
বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মাঝেমধ্যেই কোম্পানি অধিকৃত কর্মীদের নানা বিক্ষোভ চলে। তবে সম্প্রতি ওই কর্মীরা দুই বিভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। সেই গোষ্ঠীর একাংশের সঙ্গে তৃণমূলের এক নেতার যোগ রয়েছে বলেই অভিযোগ। সেই নেতার মদতেই নানা আন্দোলন চলে। তবে সম্প্রতি হাসপাতালের ভেতরেই অসামাজিক কাজকর্ম করার অভিযোগ ওঠে। ওই হাসপাতালের কর্মীরাই এনিয়ে সরব হয়েছে। রবিবার রাতেই এনিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। সোমবার হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় কর্মীরা। সুপারের কাছেও ডেপুটেশন দিয়েছে। পাশাপাশি এনিয়ে নতুন করে শ্রমিক নেতার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বালুরঘাট থানায়। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক মহল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা রাকেশ শীল। এনিয়ে পালটা সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
গতকাল রাতে পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে হাসপাতালে বৈঠকে পর এনিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এই ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা ওই কোম্পানিকে জানিয়েছি। তবে পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।‘
এই ঘটনায় তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, দালালি আর তোলাবাজি, টাকা লুঠ তৃণমূলের উদ্দেশ্য। হাসপাতালটাকেও তৃণমূলের একটা গুণ্ডা নিয়ন্ত্রণ করছে। এদের উৎখাত না করলে এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে না বলে তাঁর দাবি। এর আগেও বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অসাাজিক কাজকর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। ফের এই ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক।