21 জুলাই এলেই মনে পড়ে সেই দুর্ঘটনার কথা। দিনভর বাঁধ ভাঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের দুচোখের জল। আট বছর আগের এক একুশে জুলাই সমাবেশে যোগ দিয়ে ট্রেনে চেপে বাড়ি ফেরার পথে লাইনের ধারে থাকা ল্যাম্পপোস্টের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল তুফানগঞ্জের শালবাড়ী-1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সহেন্দ্র দাসের। একুশে জুলাই আসে যায় কিন্তু এখন আর কেউ খোঁজ রাখে না মৃত সহেন্দ্র দাসের হতভাগ্য স্ত্রী আর ছেলের। একুশে জুলাই এলেই স্বামীর স্মৃতি আঁকড়ে ছবিকে বুকে জড়িয়ে ঘরের আড়ালে বসে শুধুই চোখের জল ফেলেন গীতিকা দাস। এমনকি মৃত ওই তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যুর সার্টিফিকেট হাতে না পাওয়ায় সরকারি সুযোগ- সুবিধা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত ওই পরিবারটি। সহেন্দ্র বাবুর মৃত্যুর নয় মাসের মধ্যে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল তার বড় ছেলের। বাধ্য হয়ে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেই দিনমজুরির কাজ করতে হয়েছে ছোট ছেলেকে। ক্যামেরার সামনে আসতেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন গীতিকা দাস। তিনি বলেন, মৃত্যুর পরে সার্টিফিকেটের জন্য দলীয় নেতাদের দরজায় দরজায় ঘুরে শুধুই অপমান অবহেলা জুটেছে পরিবারের। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য মুখপাত্র চৈতি বর্মন বড়ুয়া জানান, বিষয়টি জানা ছিল না তাঁর। তবে শহীদ সমাবেশে পৌঁছে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই দলীয় কর্মীর মৃত্যু সার্টিফিকেট পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আবার একটি একুশে জুলাই-এ শুক্রবার লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের স্লোগান ও ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠবে কলকাতার ধর্মতলা চত্বর। তবে বিপুল আয়োজনের আড়ালে হয়তো এবারও উপেক্ষিত থেকে যাবে মৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সহেন্দ্র দাসের পরিবার।
21 July TMC Shahid Diwas and sahid paribar.