সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর পর থেকেই থমথমে বগটুই গ্রাম। সোমবার বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিচারবিভাগীয় তদন্তও শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
লালন শেখের মৃত্যুর পর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন গ্রামবাসীরা। লালন শেখের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয়রা বিক্ষোভে যোগ দেন। জোর করে অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্প অফিসে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা।
লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন স্ত্রী রেশমা বিবি। ৩০২ ধারায় পুলিশের মামলা হয়।
সোমবার রাতে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে যান পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। রামপুরহাট পৌঁছয় সিআইডি। আজ হবে ময়নাতদন্ত। দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।
পুলিশ লালনের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর, রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে। আবার মোতায়েন রয়েছে রাজ্য পুলিশও।
কয়েকদিন আগেই লালন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ৬ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ৩ দিনের মাথায় মৃত্যু হল লালনের। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে লালনের তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়। তারপরই হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে বগটুই গ্রামে। রাতে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১০ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান। সব অভিযোগ ওঠে ভাদুর অনুগামী ও ছায়াসঙ্গী লালন শেখের বিরুদ্ধে।
সেই ঘটনায় তদন্তভার নেয় সিবিইআই। ঘটনার ৮৯ দিনের মাথায় মোট ১৮ জনের নামে আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা করে সিবিআই। সেখানে লালনের নাম ছিল। তবে সে ঘটনার পরই পালিয়ে গিয়েছিল।
৪ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের পাকুরের নরোত্তমপুর থেকে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেদিনই রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ৬ দিন সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন।